টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিচ্ছেন লাখো মুসল্লি।
আজ রোববার সকাল থেকে ইজতেমা ময়দানে শুরু হয় আখেরি মোনাজাতের প্রস্তুতি। বেলা ১১টার শুরু হয় আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত পরিচালনা করছেন ভারতের মাওলানা জামশেদ। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হবে এ বছরের ইজতেমা।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে এখন ইজতেমা ময়দান ও তার আশপাশের এলাকায় লাখো মুসল্লির সমাগম। সড়ক-মহাসড়ক, অলিগলিতে মুসল্লিদের ঢল।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় গত শুক্রবার। এই পর্বের ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। এর আগে প্রথম পর্বের ইজতেমা হয় ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। ওই পর্বের ইজতেমায় অংশ নেন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা।
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমার শেষ দিনের কার্যক্রম শুরু হয় বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে। বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইকবাল হাবিব। বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা ওয়াসিফুল। বয়ান চলে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। খাবারের বিরতি শেষে সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান। বয়ান করেন ভারতের মাওলানা জামশেদ। তিনিই আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করছেন।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ইজতেমার মূল ময়দান ঘিরে মুসল্লির ঢল নামে। মোনাজাতে অংশ নিতে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আসেন ইজতেমা ময়দানের দিকে। সকাল আটটার দিকে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়ক-মহাসড়কে মুসল্লিদের ঢল। ইজতেমা ময়দানের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, মুসল্লিরা বয়ান শুনছেন।
৬০ নম্বর খিত্তার মো. কিতাব আলী নামের এক মুসল্লি বলেন, ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে শরিক হয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করাই তাঁর মূল উদ্দেশ্য।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আজ সকাল থেকে কিছু সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে জানান, মোনাজাত উপলক্ষে আজ ভোর থেকে বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা, টঙ্গী ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে মীরের বাজার পর্যন্ত ও আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কের আবদুল্লাহপুর থেকে বাইপাস সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মোনাজাত শেষ হলে যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হবে। তিনি আরও জানান, মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১৬টি বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া সব আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস টঙ্গী স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে।