আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের অগ্রগতি নিয়ে হতাশ রেলমন্ত্রী

আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ও ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার শিবনগর শূন্যরেখায়
ছবি: প্রথম আলো

আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার শিবনগর শূন্যরেখায় রেলপথের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ হতাশার কথা বলেন।

কাজের অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশ অংশে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ওই সময়ের মধ্যে সেটা শেষ হবে না। ঠিকাদার বলেছেন, জুনের মধ্যে রেললাইন বসানোর কাজটা শেষ করবেন। স্টেশন নির্মাণ, সিগন্যালসহ অন্যান্য কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে পারলেও আমরা খুশি হব। তবে সেটাও না করলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

রেলমন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনার আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে ট্রেনে আখাউড়ায় পৌঁছান।

বিএসএফের বাধায় কসবা ও মন্দাবাগ রেলস্টেশনের কাজ বন্ধ রয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত–বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। ছোটখাটো যে সমস্যা আছে, তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারব। এটা কোনো বাধা হবে না।’

এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ‘এ কাজ বাস্তবায়নের জন্য আমরাও চাপে আছি। সাম্প্রতিক কালে বেশ কয়েকবার প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছি। আশা করছি, শিগগির প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।’

রেলমন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনার আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে ট্রেনে আখাউড়ায় পৌঁছান। এরপর তাঁরা আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। পরে মন্ত্রী আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন।

এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কামরুল আহসান, মন্ত্রীর একান্ত সচিব আতিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।