পিরোজপুরে সম্প্রতি ঢাকা থেকে আসা ছয়জনসহ ৯ জনের শরীরে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের করোনা পরীক্ষাগার থেকে পিরোজপুরের সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। জেলায় এক দিনে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্তের ঘটনা এই প্রথম।
এ নিয়ে জেলায় ৫৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হলো। গত ১৩ এপ্রিল জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় প্রথম একজনের করোনা শনাক্ত হয়।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পাওয়া প্রতিবেদনে ইন্দুরকানি উপজেলায় আট জন ও মঠবাড়িয়া উপজেলার একজনের করোনা পজেটিভ জানা যায়। ইন্দুরকানি উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে এক পরিবারের চারজন (মা ও তাঁর তিন সন্তান) রয়েছে। এ ছাড়া এক দম্পতি আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত দুই পরিবারের ছয়জনই সম্প্রতি ঢাকা থেকে বাড়ি যান। আক্রান্ত আরেক যুবক চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি গিয়েছেন। এ ছাড়া এক নারী স্থানীয় একটি বাড়িতে করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে গিয়ে আক্রান্ত হন। মঠবাড়িয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক। ১৮ মে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গতকাল রাতে মঠবাড়িয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইন্দুরকানি উপজেলায় আক্রান্তদের বাড়ি আজ শনিবার সকালে লকডাউনের প্রস্তুতি চলছে।
পিরোজপুরের সিভিল সার্জন মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী বলেন, জেলায় প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চসংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো। আক্রান্তদের করোনা উপসর্গ প্রকাশ না পাওয়ায় তাঁদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে উপসর্গ দেখা দিলে তাঁদের হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হবে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, করোনায় আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত পিরোজপুর সদর উপজেলায় ১৩ জন, ভান্ডারিয়া উপজেলায় ১২ জন, মঠবাড়িয়া উপজেলায় ১০ জন, ইন্দুরকানি উপজেলায় ১১ জন, নেছারাবাদ উপজেলা ৩, কাউখালী উপজেলায় ১ ও নাজিরপুর উপজেলা ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলায় ২ জন, ভান্ডারিয়া উপজেলায় ৪ জন ও মঠবাড়িয়া উপজেলা ১ জন সুস্থ হয়েছেন।