জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আলমগীর চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারের সময় অটো রিকশাচালককে মারধর ও প্রচারকাজে ব্যবহৃত মাইক ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী আলমগীর চৌধুরীর প্রচারকাজে থাকা অটো রিকশাচালক এরশাদুল মণ্ডল বলেন, ‘আমি বেলা দুইটার পর অটোরিকশায় মাইক নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলাম। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পৌরসভা ভবনের এলাকার দিকে গেলে সেখানে দুজন তরুণ আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী আলমগীর চৌধুরী ভাইয়ের প্রচার চালাতে নিষেধ করেন। আমি তাঁদের দুজনের মধ্যে একজনকে চিনি।’
এরশাদুল আরও অভিযোগ করেন, বাধা উপেক্ষা করে প্রচার চালানোর আধঘণ্টা পর কেশবপুর মহল্লার তুলসীগঙ্গা নদীর বাঁধের পাড়ে দুটি মোটরসাইকেলে করে হেলমেট ও মুখোশপরা চার ব্যক্তি হামলা চালান। তাঁরা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে অটোরিকশার ছাদে থাকা মাইক ভাঙচুর করেন।
এরশাদুলের অভিযোগ, ভাঙচুরে বাধা দিলে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাঁকে পেটান। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান।
বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী আলমগীর চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সিকেন্দার চৌধুরী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র পদপ্রার্থীর কর্মী বা তাঁর সমর্থকেরা এই হামলা চালিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী শহীদুল আলম চৌধুরী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিএনপির প্রার্থীর এজেন্ট আমার বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ করেছেন। অটোচালককে মারধর ও মাইক ভাঙচুরের ঘটনায় আমার কোনো কর্মী-সমর্থক জড়িত নন। এটা দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির অন্তরবদ্বন্দ্বের ফল।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুদীপ কুমার রায় বলেন, ‘বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারের কাজে থাকা অটোরিকশা চালককে মারধর ও মাইক ভাঙচুর কথা আমাকে কেউ জানায়নি।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ খান বলেন, বিএনপি প্রার্থীর মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। প্রশাসনের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।