নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট। গতকাল শুক্রবার রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তৈমুরের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এ টি এম কামাল আটটি পয়েন্টে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এ টি এম কামাল নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তৈমুর প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেয় বিএনপি।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আইভীর নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রতিটি ওয়ার্ডেই সারা দিন মাইকিং করা হচ্ছে। অথচ বেলা দুইটার পর থেকে মাইকিং করার বিধান রয়েছে। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের হাতি প্রতীকের পোস্টার আইভীর নৌকা প্রতীকের পক্ষের লোকজন ছিঁড়ে ফেলছেন। লক্ষ্মী–নারায়ণ আখড়া, বন্দর খেয়াঘাট, নিতাইগঞ্জসহ প্রায় ২০টি স্থানে রাস্তার ওপর নৌকা প্রতীকের বড় বড় তোরণ আলোকসজ্জাসহ নির্মাণ করা হচ্ছে। পাইকপাড়া শাহ সুজা রোডে নৌকা প্রতীকের তিনটি ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়মবহির্ভূত মাপে নৌকার ফেস্টুন তৈরি করে শহরের বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে। আইভী মেয়র না হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ প্রটোকলে বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। ৭ জানুয়ারি নবীগঞ্জের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাবিলের মোড়ে জনসভা করার জন্য বড় করে স্টেজ নির্মাণ করেছেন এবং সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের নির্বাচনী প্রচারকাজে লাগাচ্ছেন, যা আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে এ টি এম কামাল প্রথম আলোকে বলেন, নৌকার প্রার্থী আইভীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এর আগেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে সেলিনা হায়াৎ আইভী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আচরণবিধি মেনে তিনি প্রচার–প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয়। বরং তৈমুর আলম খন্দকার আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মাইক ব্যবহার করছেন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।