‘এই বিশেষ বাড়িটিতে এসে আমি বেশ আবেগাপ্লুত। বাড়িটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে জেনে আমি কৃতজ্ঞ।’
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের পর দর্শনার্থী বইয়ে এমনটাই লিখেছেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। বাংলাদেশ সফরে আসা জোলি আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান তিনি।
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট এই ৩২ নম্বর বাড়িটিতেই সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু। সেই সময় দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তাঁর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
তিন দিনের সফরে গত সোমবার ঢাকা আসেন জোলি। ওই দিনই তিনি রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনে কক্সবাজারে চলে যান। দুদিন ধরে তিনি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত জোলি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের এবার বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে শিবির পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে এই সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান।
আজ জোলি বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গেলে সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক তাঁকে স্বাগত জানান। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার ছেলে এবং আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে জোলিকে জানান। জোলি পুরো ভবন ঘুরে দেখেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন। সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
জোলির এই পরিদর্শনের সময় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুরা হোসেইন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) এম খুরশীদ আলম এবং ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি