অর্থ পাচার মামলায় পৌর কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

শেখ মো. জলিল
সংগৃহীত

ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের নামে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌরসভার কাউন্সিলর শেখ মো. জলিলকে (৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে ফরিদপুর শহরের রেলস্টেশন বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া শেখ মো. জলিল ফরিদপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর। জলিলের বিরুদ্ধে টেপাখোলা গরুর হাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা আছে। ওই মামলায় তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখল ও রেলওয়ের জমি দখল করে নিজে ব্যবহার করা ও ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ আছে। জলিলের ভাই ফরিদপুর চেম্বারের সভাপতি সিদ্দিক শেখকেও এই মামলায় খুঁজছে পুলিশ। সিদ্দিক শেখ ফরিদপুর রেলস্টেশনসংলগ্ন রেলক্রসিংয়ের উত্তর পাশে রেলের প্রায় দুই একর জমি অবৈধভাবে দখল করে পাথরের ব্যবসা করছেন। এ কাজের তদারক করেন জলিল।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, বরকত-রুবেলের নামে করা অর্থ পাচার মামলায় ঢাকার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চাওয়া অনুযায়ী শেখ মো. জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার সিআইডি তাঁকে কারাগার থেকে তাদের হেফাজতে নেবে।

মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পশ্চিম বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি ঢাকার সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, বরকত–রুবেলসহ অর্থ পাচার মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শেখ জলিলকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তাঁর ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় করা মামলায় গত ৭ জুন তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাঁদের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত ২৬ জুন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে ঢাকার কাফরুল থানায় দুই হাজার টাকা পাচারের অভিযোগে বরকত ও রুবেলের নামে মামলা করেন।