করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রন শনাক্তের জন্য কিট এনেছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)। আজ বুধবার দুপুরে সিভাসুর মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ এ তথ্য জানিয়েছেন।
গৌতম বুদ্ধ দাশ জানান, তাঁরা ১০০ কিট এনেছেন, যা দিয়ে অমিক্রন কি না, তা পরীক্ষা করা যাবে। তিনি বলেন, অমিক্রন সন্দেহে কোনো রোগী পাওয়া গেলে চিকিৎসকেরা নমুনা এখানে পাঠাতে পারবেন। এ ছাড়া করোনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন গবেষণা চলছে বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ‘আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের রক্তের বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করে মৃত্যুঝুঁকির সম্ভাব্যতা যাচাইকরণ’ শীর্ষক এক যৌথ জরিপ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ইসমাইল খানের নেতৃত্বে এ গবেষণা পরিচালিত হয়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা রোগীদের ৮৯ শতাংশ রোগী আগে থেকে এক বা একাধিক রোগে ভুগছিলেন। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁদের অক্সিজেনের মাত্রা, শ্বেত রক্তকণিকা, সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন, ফেরেটিন ও ডি-ডাইমারের মাত্রায় মারাত্মক তারতম্য ছিল। এই উপাদানগুলোর বড় রকমের হেরফেরের কারণে আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার পরও তাঁদের বাঁচানো যায়নি।
দুই উপাচার্য ছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবীর, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক বিদ্যুৎ বড়ুয়া, জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. আবদুর রব, জুনিয়র কনসালট্যান্ট রাজদ্বীপ বিশ্বাস, জুনিয়র কনসালট্যান্ট মৌমিতা দাশ প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সবাই এ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।