১৬ বছর আগে বাড়ি থেকে অভিমান করে চলে গিয়েছিলেন ইমন হক নামের এক যুবক। সে সময় তাঁর বয়স ছিল ১৯ বছর। এরপর দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মা আয়েশা আক্তার ও ভাই জিয়াউল হক বিভিন্ন স্থানে তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে পাওয়ার আশা অনেকটা ছেড়ে দিয়েছিলেন। ১৬ বছর পর ইমন লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
গতকাল বুধবার তাঁর মরদেহ বাড়িতে আসার পর শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রামে। নিহত ওই তরুণ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শরীফনগর গ্রামের শামছুদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ঢাকার কাফরুল থানা-পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনায় একটি রক্তাক্ত মরদেহ পায়। মরদেহের সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী পুলিশ ইমনকে শনাক্ত করে। পরে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ থানায় পাঠানো হয় ইমনের ছবি। এ ছবি দেখে ইমনের পরিবারের সদস্যরা চিনতে পারেন তাঁকে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ইমনের মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমাগারে গিয়ে শনাক্ত করেন নিহত ইমন হকের পরিবারের সদস্যরা। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ইমনের মা আয়েশা আক্তার কান্নায় ভেঙে পড়েন। শোকাহত পুরো গ্রামবাসী। গতকাল ইমনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়। এ লাশ দেখতে জড়ো হন শত শত মানুষ।
গত সোমবার ঢাকার কাফরুল থানা-পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনায় একটি রক্তাক্ত মরদেহ পায়। মরদেহের সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী পুলিশ ইমনকে শনাক্ত করে। পরে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ থানায় পাঠানো হয় ইমনের ছবি। এ ছবি দেখে ইমনের পরিবারের সদস্যরা চিনতে পারেন তাঁকে।
নিহত ইমনের প্রতিবেশী সিরাজ মিয়া বলেন, প্রায় ১৬ বছর আগে বাড়ি থেকে অভিমান করে ইমন চলে যান। এত দিন তাঁকে না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁর আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। যখন পাওয়া গেল, লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ইমন।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম জানান, ইমন ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। কাফরুল থানা-পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের হিমাগারে রাখে। লাশের সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা অনুযায়ী ইমনের পরিচয় মেলে। পরে তাঁর পরিবারও ঢাকায় গিয়ে লাশটি শনাক্ত করে। ইমনের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তিনি ঢাকার মিরপুরে পল্লবী আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন।