পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় অভাবের কারণে বিক্রি করে দেওয়া কন্যাসন্তানকে উদ্ধারের পর মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার সকালে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হলে বিচারক পল্লবেশ কুমার কুন্ডু শিশুটিকে তার মা কাজল ব্যাপারীর জিম্মায় দেন। রোববার প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন পিরোজপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মীর আতাহার আলী।
পিরোজপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মীর আতাহার আলী বলেন, শিশুটিকে আদালত তার মায়ের জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দেন। দুপুরে শিশুটিকে তার মা বাড়ি নিয়ে যান।
শিশুটির মা কাজল ব্যাপারী বলেন, ‘আমার স্বামী অভাবে থাকায় ও মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে ধনী একটি পরিবারকে শিশুটিকে দত্তক দিয়েছিলাম। আমি তো মা। মায়ের মন সন্তানের জন্য ছটফট করে। সন্তানকে ফিরে পেয়ে আমি খুশি।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার দুর্গাকাঠি গ্রামের পরিমল ব্যাপারীর স্ত্রী কাজল ব্যাপারী এক মাস আগে একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। শিশুটির জন্মের পর স্থানীয় বিজন হালদার ও রনজিত কুমার নামের দুই ব্যক্তি পরিমল ব্যাপারীকে প্রভাবিত করে শিশুটিকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেন। পরে বিজন হালদার পরিমলকে শুধু ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে ওই দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ নিয়ে রোববার প্রথম আলোয় ‘অভাবে পড়ে শিশুসন্তান বিক্রি, পরে উদ্ধার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
রোববার সকালে থানা-পুলিশ শিশুটিকে মাসহ পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। এ সময় বিচারক শিশুটিকে মায়ের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দেন।