এক শিশুকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। কিন্তু পরিবার মুক্তিপণ না দেওয়ায় অপহরণকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে শিশুটিকে মেরে ফেলে। অপহরণের তিন দিন পর বাড়ির কাছের একটি জঙ্গল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনা ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকার।
মারা যাওয়া শিশুটির নাম সানজিদা আক্তার (৮)। তারাকন্দা উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকার শাহজাহান আকন্দের মেয়ে। স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল সানজিদা।
শুক্রবার সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুরের আকন্দবাড়ির পেছনের জঙ্গল থেকে সানজিদার অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সানজিদার পরিবার জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির উঠান থেকে অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তি অপহরণ করে নিয়ে যায় সানজিদাকে। এ সময় অপহরণকারীরা একটি চিরকুট ফেলে রেখে যায়। ওই চিরকুটে মোবাইল নম্বর লেখা ছিল। সানজিদার বাবাকে সেই মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে বলে অপহরণকারীরা। পরে সানজিদার পরিবারের পক্ষ থেকে ওই মুঠোফোনের নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বুধবার অপহরণকারীরা সানজিদার পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে মুক্তিপণের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করে একটি বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে বলে। টাকা না পাঠালে মেয়েটিকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ওই দিনই এ বিষয়ে সানজিদার বাবা তারাকান্দা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এ বিষয়ে তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, সানজিদাকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে থানায় জিডি করা হয়েছিল। এরপর থেকে অপহরণকারীদের শনাক্ত করার জন্য চেষ্টা চালাতে থাকে পুলিশ। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে বাড়ির পেছনে পাওয়া যায় মেয়েটির লাশ। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ কামাল আকন্দ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে দু–তিন দিন আগেই শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। চিরকুটে লেখা মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে অপহরণকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।