গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে এই দণ্ড কার্যকর করা হয়।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তির নাম আবদুল গফুর (৪৭)। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই বছরের মেয়েকে হত্যার দায়ে আবদুল গফুরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।
আবদুল গফুরের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার দক্ষিণ চর লরেন্স এলাকায়। বাবার নাম শামসুল হক।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার মো. আবু সায়েম বলেন, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে গতকাল দিবাগত রাত ১২টায় আবদুল গফুরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার, জেলারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০০৬ সালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার দক্ষিণ চর লরেন্স এলাকায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর দুই বছরের কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রামগতি থানায় আবদুল গফুরের নামে হত্যা মামলা হয়।
মামলায় ২০০৮ সালে বিচারিক আদালত আবদুল গফুরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। পরে আবদুল গফুর উচ্চ আদালতে আপিল করলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে তা–ও খারিজ হয়।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার মো. আবু সায়েম জানান, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর সব আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবদুল গফুরের মরদেহ তাঁর স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।