অনুমতি ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ নয়

বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশ সরকার

সরকারি দায়িত্ব পালনের জন্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করা যাবে না। পুরোনো এই বিষয়ের প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার এই চিঠি দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সরকারি কর্মচারীদের সরকারি দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করে মামলা করা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা প্রতিপালিত হচ্ছে না। এতে আইনের ব্যত্যয় ছাড়াও মাঠপর্যায়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে নদী, খাল, বিল, বন, জলাশয়সহ সরকারি সম্পত্তি ও স্বার্থ রক্ষা, অবৈধ ক্ষতিসাধন বা জবরদখল প্রতিরোধ ও উচ্ছেদ অভিযানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।

চিঠিতে সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন বা সরল বিশ্বাসে করা কাজের সুরক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আইনে যেসব বিধান রয়েছে, সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় জেরে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয় আদালতে। গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। এর কয়েক দিন পর এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আইনসচিবের কাছে এই চিঠি দিল।

চিঠিতে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট বা কোনো সরকারি কর্মকর্তার কর্তব্য বা দায়িত্ব পালনে কৃত বা এ মর্মে দাবিকৃত কোনো কাজের জন্য সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো অপরাধ আমলে গ্রহণ করা যাবে না।’

মোবাইল কোর্ট আইনে থাকা বিধানের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয় ওই চিঠিতে। বিধানে বলা হয়, এই আইন বা তার অধীনে প্রণীত বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে করা বা করা বলে বিবেচিত কোনো কাজের জন্য কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো প্রকার আইনগত কার্যধারা রুজু করতে পারবেন না।
এ রকম আরও কিছু তথ্য তুলে ধরা হয় চিঠিতে।