অজগরের ডিম দেখতে কেমন?

অজগরের ডিম দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক লোকেরা। গতকাল সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে। ছবি: প্রথম আলো
অজগরের ডিম দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক লোকেরা। গতকাল সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে।  ছবি: প্রথম আলো

সাধারণত অজগর সাপ বন-জঙ্গলের গর্ত, গুহা বা পুরোনো গাছের খোঁড়লে ডিম পাড়ে। তবে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঘটেছে একটু ভিন্ন। বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে থাকা একটি অজগর চতুর্থবারের মতো আবারও বংশবিস্তারের জন্য ডিম দিয়েছে। আর সেই ডিম দেখতে প্রতিদিনই সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক লোকজন।

বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সঞ্জিত দেব প্রথম আলোকে বলেন, গত শনিবার রাতে অজগরটি ডিম পাড়ে। রোববার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন জায়গা থেকে উৎসুক লোকেরা সাপের ডিম দেখতে ছুটে আসছেন।

তবে সাপটি কুণ্ডলী পাকিয়ে ডিমগুলো ঢেকে রেখেছে। ডিমের ওপরে মাথা রেখে ডিমে তা দিচ্ছে। শরীরের ফাঁক দিয়ে একটু দেখা গেলেও পুরো ডিম দেখা যাচ্ছে না। তিনি জানান, ডিমগুলোর রং সাদা। রাজহাঁসের ডিমের মতো এর আকৃতি। খাঁচার ভেতরে স্ত্রী অজগরের সঙ্গী পুরুষ অজগর পাশে থেকে সতর্ক পাহারা দিচ্ছে।

তিনি জানান, ডিমের সংখ্যা ৩০-৩২ হবে। বনে-জঙ্গলে থাকলে অজগর সাধারণত মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে ৫০-১০০টি ডিম দেয়। গর্ত, গুহা বা পুরোনো গাছের খোঁড়লে ডিম পাড়ে। হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সীমান্তের দিনারপুর পাহাড়ের একটি লেবুর বাগান থেকে উদ্ধার করা এই অজগর জুটি ১৯৯৯ সাল থেকে তাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সাপটি আরও তিনবার এখানে থাকা অবস্থায় ডিম পাড়ে। প্রথম ২০০২ সালের মে মাসে ৩২টি ডিম পেড়েছিল। ডিম পাড়ার ৫৯দিন পর ২৮টি বাচ্চা ফুটেছিল। ২০০৪ সালের মে মাসে ৩৮টি ডিম দেয়। সেবার ৬০ দিন পর বাচ্চা ফুটেছিল ৩২টি। সর্বশেষ ২০১১ সালের মে মাসে ৩০টি ডিম দেয়। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পর তারা অজগরের বাচ্চাগুলো লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করেছেন। এবারও তা-ই করা হবে।