ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে প্রধান আসামি করে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বরগুনার সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ রোববার সকালে মামলার আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম আবেদন গ্রহণ করে বেলা ১১টায় সংশ্লিষ্ট থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আখতার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাদীর আইনজীবী সাইফুর রহমান বলেন, লঞ্চে আগুনের ঘটনায় মালিকসহ স্টাফদের গাফিলতি সুস্পষ্ট। আলোচিত এ ঘটনায় বাদী সংক্ষুব্ধ হয়ে মামলার আবেদন করেছিলেন। আদালত আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি এজাহার হিসেবে নেওয়ার জন্য থানাকে আদেশ দিয়েছেন।
বাদী নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্যে আমি নিশ্চিত হয়েছি, মামলার আসামিদের গাফিলতির কারণে আগুন, মৃত্যু, আহত ও ক্ষয়-ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিচার হওয়া উচিত বলে আমি মনে করেছি। এ কারণেই আমি ন্যায়বিচারের স্বার্থে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি করেছি। আমি এ মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। নিহত ৩৮ জনের মধ্যে ৩৭ জনের বাড়ি বরগুনায়। এর মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকি ২৩টি মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী এলাকার গতকাল শনিবার দাফন করা হয়। দুর্ঘটনায় বরগুনার অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে আত্মীয়স্বজন দুর্ঘটনাস্থল ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ধান চালাচ্ছেন।
লঞ্চ দুর্ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি আজ বেলা ১১টা থেকে বরগুনায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। কমিটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলবে।