প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেও মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছিল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ হিসেবে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা। এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, মালয়েশিয়া যেতে না পারা ৭০ শতাংশ কর্মী টাকা ফেরত পেয়েছেন বলে জানিয়েছে বায়রা।
আজ বৃহস্পতিবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এর আগে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম। মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। এর জন্য কর্মীদের দক্ষ করে জনশক্তিতে রূপান্তর করে বিদেশে পাঠাতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কতজন কর্মী টাকা পেয়েছেন, তা এখনই নির্দিষ্ট করা বলা যাচ্ছে না। কর্মীরা যত টাকা দিয়েছেন, সেই টাকা পাওয়ার পর তাঁরা লিখিতভাবে জানাবেন। কর্মীদের টাকা প্রাপ্তির এ তালিকা মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে বায়রা। এরপর জানা যাবে কতজন কর্মী টাকা পেয়েছেন। সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দিতে না পারলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার কবে নাগাদ খুলতে পারে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামী মাসে মালয়েশিয়ার সঙ্গে গঠিত দুই দেশের যৌথ কারিগরি কমিটির সভা আছে, তখন শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে জানা যাবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের শাস্তির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে দেশে কর্মীরা বসবাস করবেন, সে দেশের আইন সম্পর্কে তাঁদের সচেতন থাকা উচিত। দুবাইয়ে আন্দোলন করে প্রবাসীরা আইন অমান্য করে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রবাসীদের ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না। এটি তাদের রাষ্ট্রীয় বিষয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে বেশির ভাগ প্রবাসীদের অবদান। বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজারটা এখন একটা মহল নষ্ট করতে চাচ্ছে।