চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় গণসংহতি আন্দোলনের এক গণসংলাপে বক্তারা বলেন, ভবিষ্যতে কেউ যাতে বিনা ভোটে এমপি (সংসদ সদস্য), মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য হতে না পারেন, সেই রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে হবে। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থান মানুষের ভেতর রাষ্ট্র পুনর্গঠনের যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছে, সেই আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা নিয়ে সবার এগিয়ে যাওয়া উচিত। আজ শনিবার সকালে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পথেরহাট বাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সংলাপের আয়োজন করা হয়।
সংলাপে বক্তারা বলেন, ২০১৪ সালে বিনা ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফজলে করিম। তখন থেকে রাউজান হয়ে উঠে সারা দেশে বিনা ভোটের দারুণ মডেল। উন্নয়নের নামে ফজলে করিম রাউজানকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করেন। রাউজানবাসী অদৃশ্য আয়নাঘরে বন্দী ছিল। রাউজানে উপজেলা, পৌরসভা কিংবা ইউপি নির্বাচনে কোনো ভোট হয়নি। ফজলে করিম যাঁকে মনোনয়ন দিতেন, তিনিই হতেন জনপ্রতিনিধি।
গণসংহতি আন্দোলন রাউজানের সংগঠক মো. মোরশেদুল আলমের সভাপতিত্বে ও মো. হাবিব উল্লাহর সঞ্চালনায় গণসংলাপে অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য হাসান মারুফ রুমী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক নাসির জসি, চট্টগ্রাম সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সাহাদাৎ হোসেন তালুকদার, উত্তর জেলার সদস্যসচিব জাহেদুল আলম, চান্দগাঁও থানার আহ্বায়ক ইকবাল মাসুদ, বোয়ালখালী থানার আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মুক্তিয়ার প্রমুখ।