বর্গাচাষি আলতাফ ফরাজী (৬০) কয়েক বছর আগে ঋণ করে দুটি মহিষ কিনেছিলেন। একটি মহিষ থেকে আরও দুটি মহিষের জন্ম হয়। আলতাফ ফরাজীর সম্বল বলতে ছিল এই চার মহিষ। অন্যের জমি একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে দুই মহিষ দিয়ে চাষাবাদ করতেন। বজ্রপাতে একসঙ্গে চারটি মহিষের মৃত্যুতে নিঃস্ব হয়ে গেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী গ্রামে বজ্রপাতে তাঁর মহিষগুলো মারা যায়।
আলতাফ ফরাজী বলেন, ‘আমি চারটি মহিষ দিয়ে অন্যের পাঁচ থেকে ছয় বিঘা জমি একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে চাষাবাদ করতাম। হালের মহিষগুলো মারা যাওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার বসতবাড়ি ও পাঁচ কাঠা ফসলি জমি ছাড়া কিছুই নেই।’
আলতাফের ভাষ্য, তাঁর চারটি মহিষের মধ্যে একটি ছেলে, বাকি তিনটি মেয়ে। গতকাল দুপুরে স্থানীয় মাঠে চরানোর পর মহিষগুলোকে তিনি সড়কের পাশে গোয়াল ঘরে বেঁধে রেখে বসতবাড়িতে চলে যান। বেলা তিনটার দিকে হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাত। এ সময় মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি কিছু দূর থেকে দেখতে পান, বজ্রপাতের বিকট শব্দের পর পরই মহিষগুলো মৃত পড়ে আছে। চার মহিষের মৃত্যু দেখে তিনি কান্না থামাতে পারছেন না।
ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সামসুদ্দিন বলেন, আলতাফ ফরাজী দরিদ্র কৃষক। তাঁর চারটি মহিষের আনুমানিক মূল্য ছয় লাখ টাকা হবে। হালের মহিষগুলোর মৃত্যুতে তিনি খুবই অসহায় হয়ে পড়েছেন। ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা রানী ধর বলেন, ওই কৃষককে সহযোগিতা করা হবে।