দেশে ক্যানসার মোকাবিলায় ৫ চ্যালেঞ্জের কথা জানালেন বিশেষজ্ঞরা

ক্যানসার
প্রতীকী ছবি

দেশে ক্যানসার মোকাবিলায় পাঁচটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হলো ক্যানসার রোগীর নিবন্ধন নেই, ক্যানসার বিষয়ে কৌশলপত্র নেই, জাতীয় পরিকল্পনা নেই, চিকিৎসায় ব্যয় অত্যন্ত বেশি এবং সাধারণ মানুষ সচেতন নন। তবে নীতিনির্ধারক ও পেশাজীবীরা যৌথভাবে কাজ করলে পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব।

আজ শনিবার বিশ্ব ক্যানসার দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এসব কথা বলেন। বিএসএমএমইউর হেমাটোলজি বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দুপুরের অনুষ্ঠান শুরুর আগে চিকিৎসক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও নার্সরা ক্যানসার দিবস উপলক্ষে একটি র‌্যালির আয়োজন করেন।

বিশ্ব তথা বাংলাদেশকে ক্যানসারমুক্ত করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও ক্যানসার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানুষ সচেতন হলে কিছু ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। ক্যানসার আক্রান্তদের শনাক্ত করা ও চিকিৎসায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। প্রশিক্ষিত জনবল ও চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে এই পার্থক্য দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, বিশ্বে মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ ক্যানসার। সারা বিশ্বে ক্যানসারের প্রকোপ বাড়ছে। বাংলাদেশে বছরে প্রায় দেড় লাখ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের রক্তের ক্যানসারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন রোগের আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও রক্তের ক্যানসার চিকিৎসায় অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা নেই। এটা দুঃখজনক।

অনুষ্ঠানে রক্তের ক্যানসার নিয়ে পৃথকভাবে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়। বলা হয় দিন দিন দেশে রক্তের বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারে আক্রান্তের হার বাড়ছে। এর মধ্যে আছে নন হজকিন ও হজকিন লিম্ফোমা, লিউকোমিয়া, মায়েলোমা। রক্তের ক্যানসারের লক্ষণের মধ্যে আছে ক্লান্তি ও দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, খসখসে চামড়া ও চামড়ায় ফুসকুড়ি, অবসাদ ভাব, ওজন কমে যাওয়া, হাড় ও সন্ধিতে ব্যথা, বুক ধড়ফড় করা, ঘনঘন জ্বর হওয়া, অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ, পায়ে পানি জমে যাওয়া।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় নবীন চিকিৎসকদের উদ্দেশে হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সালাহউদ্দীন শাহ বলেন, ‘রোগীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ সঠিক হতে হবে। হাসিমুখে রোগীর সঙ্গে কথা বলতে হবে। চিকিৎসকের কোনো আচরণে রোগী যেন অপমানিত না হন, বিরক্ত না হন, সে ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে।’