সব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কাজ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘এই সরকার কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গ্রুপকে প্রোমোট (সুবিধা দেওয়া) করবে না। এখন থেকে সবার জন্য প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত থাকবে।’
আজ বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। তখন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন বলে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ডিসিসিআই প্রতিনিধিদল ফাওজুল কবির খানকে নতুন দায়িত্বের জন্য স্বাগত জানায়। বেশ কিছুদিন ধরে তারা কারখানায় নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহ পাচ্ছে না বলে উপদেষ্টা কাছে তুলে ধরে বলে, এতে তাদের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ সময় তারা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবি জানায়।
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহের জন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে থাকা সামিটের ভাসমান টার্মিনালটি (এফএসআরইউ) তিন মাস ধরে বন্ধ থাকায় গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আগামী ১৫ তারিখ থেকে এটি চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু ব্যবসার ক্ষেত্রে নয়, অন্যান্য খাতেও গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে, বিশেষ করে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে। খুলনার রূপসায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গ্যাসের জন্য চালু করা যাচ্ছে না।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম আরও কমানো যায় কি না; প্রতিনিধিদলের এমন অনুরোধের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ইতিমধ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে। চলমান চুক্তিগুলোর জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সেভাবে কমানো যাচ্ছে না। স্থলভাগে এলএনজি টার্মিনাল করা যায় কি না, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া খুলনায় একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা যায় কি না, সেটাও যাচাই করা হবে।
প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে সিএনজি স্টেশন ও আবাসিক খাতে গ্যাসের সরবরাহ রেশনিং করে তা শিল্প খাতে সরবরাহ করার এবং স্বর্ণদ্বীপ ও কিশোরগঞ্জের হাওরে সরকারি জমিতে সোলার প্ল্যান্ট করার বিষয়ে বিবেচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই দুটি খাতেও গ্যাসের প্রয়োজন রয়েছে। তবে তাদের দাবিগুলো যৌক্তিকভাবে বিবেচনা করা হবে। এলএনজি আমদানির মাধ্যমে কারখানাগুলো চালানো যায় কি না, সে ব্যাপারও প্রতিনিধিদলকে ভেবে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবির ও বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।