বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত নেয়নি। ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনায় এটি নিশ্চিত করেছেন।
আজ বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি, সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছে। দিস ইজ অ্যাবসিলিউটলি বোগাস (এটি পুরোপুরি বানোয়াট)। যারা এ খবর দিয়েছেন, তাঁদের তা যাচাই–বাছাই না করে দেওয়াটা সমীচীন হয়নি, সঠিক হয়নি। এ ধরনের কোনো একটি সংবেদনশীল সংবাদ যাচাই–বাছাই করে দেওয়া উচিত ছিল।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের আজ বিকেলেও কথা হয়েছে। তিনি (রাষ্ট্রদূত) জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত (বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা বন্ধ) তারা নেয়নি।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুমতি ছাড়া যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ। বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করেন বলে খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ওই বিক্ষোভের পরদিন শনিবার (২০ জুলাই) আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল বিবৃতি দিয়ে প্রবাসীদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
২২ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি আদালত বিক্ষোভ করায় দায়ে ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর করে এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আমিরাতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আমিরাতি নিউজ এজেন্সি (ডব্লিউএএম) সোমবার এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।