বিশাল এলাকাজুড়ে শুধু পুঁতে রাখা হয়েছে বাঁশ। রোববার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরের ইজতেমা মাঠে
বিশাল এলাকাজুড়ে শুধু পুঁতে রাখা হয়েছে বাঁশ। রোববার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরের ইজতেমা মাঠে

এবার ইজতেমায় শামিয়ানা আনতে হবে মুসল্লিদের

মঞ্চের সামনে কয়েক একর জায়গায় টানানো হয়েছে শামিয়ানা। এর বাইরে পুরো মাঠে শুধু বাঁশ পুঁতে রাখা হয়েছে।

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমা শুরুর বাকি আর চার দিন। এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি ইজতেমা মাঠ। মাঠের বেশির ভাগ জায়গায় এখনো টানানো হয়নি শামিয়ানা। ইজতেমা আয়োজকেরা বলছেন, চটসংকট থাকায় এবার পুরো মাঠে শামিয়ানা টানানো সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন জেলার তাবলিগ জামাতের মুসল্লিদের নিজ দায়িত্বে শামিয়ানা আনতে বলা হয়েছে। মুসল্লিরা এলেই পুরো মাঠ প্রস্তুত হয়ে যাবে।

রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে বিদেশি মেহমানদের জায়গা, রান্নার জায়গাসহ অন্যান্য স্থাপনা। বিদেশি মেহমানখানার পাশেই তৈরি করা হয়েছে বয়ানের মঞ্চ। মঞ্চের সামনে কয়েক একর জায়গায় টানানো হয়েছে শামিয়ানা। এর বাইরে পুরো মাঠে শুধু বাঁশ পুঁতে রাখা হয়েছে। মাঠে মানুষের খুব একটা আনাগোনা নেই। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বিচ্ছিন্নভাবে মাইক, পানির সংযোগসহ শৌচাগারের কাজ করছিলেন কিছু মুসল্লি।

মাঠের উত্তর-পূর্ব পাশে কথা হয় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে আসা তাবলিগের সাথি ষাটোর্ধ্ব মো. মোজাম্মেল হকের সঙ্গে। কথায় কথায় জানালেন, ৪৪ বছর ধরে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন তিনি। মোজাম্মেল বলেন, এবারই প্রথম মুসল্লিদের নিজ দায়িত্বে শামিয়ানা নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। প্রতিটি জেলার জন্য ১৮ ফুট প্রস্থ ও ৩৬ ফুট লম্বা জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাবলিগের সাথিরা ইজতেমা শেষে আবার নিজ দায়িত্বে শামিয়ানা খুলে নিয়ে যাবেন।

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে আলাদাভাবে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা পালন করবেন ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি। চার দিন বিরতির পর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি। সে হিসাবে এখন মাঠ প্রস্তুতির কাজ করছেন মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা।

শামিয়ানার বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের ইজতেমা আয়োজকদের একজন খন্দকার মেজবাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইজতেমা মাঠের আগের চটগুলো নষ্ট হয়ে গেছে, ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ কারণে চটসংকট দেখা দিয়েছে। আমরা মুসল্লিদের নিজ নিজ দায়িত্বে শামিয়ানা নিয়ে আসতে বলেছি। ৬৪ জেলার মধ্যে ৪০ জেলার মুসল্লিদেরই শামিয়ানার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। তাঁরা এলেই পুরো মাঠে শামিয়ানা টানানো সম্পন্ন হবে।’