রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ নামের এক মুদিদোকানিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে এ আদেশ দেন। হত্যা মামলাটি রেকর্ড করতে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক নূরে আলম।
আসামি হিসেবে অন্য যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
এর আগে আজ একই আদালতে মামলাটি নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুর ১২টার দিকে আদালত মামলার বাদী এস এম আমীর হামজার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদেশ দেন আদালত।
মামলার এজাহারের তথ্য বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলিতে গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের বছিলায় মুদিদোকানি আবু সায়েদ নিহত হন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৫৮০ জনের নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পদত্যাগ করে তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। তিনি এখন সেখানেই অবস্থান করছেন।