১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে তিন দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র ছায়ানট। কথা, সংগীত, নৃত্য ও পাঠ নিয়ে সাজানো হয়েছে প্রতিদিনের বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজন। এ ছাড়া প্রতিদিন থাকবে গ্রন্থিত আয়োজন।
নজরুলের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ছায়ানট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
২৪ মে শুরু হতে যাওয়া এ উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরেন রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা। তিনি বলেন ‘আমাদের এই প্রজন্ম অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। কারণ, তাদের ও তাদের অগ্রজ সবাইকে সাথি করে বিপুল উদ্দীপনায় এই বিশেষ দিনটি উদ্যাপনের সাক্ষী হতে চলেছি আমরা।’
লাইসা আহমদ জানান, তিন দিনের নজরুল উৎসবে ৩০ জনের মতো আমন্ত্রিত শিল্পীসহ প্রায় ১৬০ শিল্পী অংশ নেবেন। আগামী শুক্রবার প্রথম দিনের আয়োজনে বিশেষ বক্তা থাকবেন অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল। দ্বিতীয় দিন শনিবার সন্জীদা খাতুনের গ্রন্থনায় গীতি-আলেখ্য সজল শ্যাম ঘন দেয়া পরিবেশন হবে।
তৃতীয় দিন রোববার কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছায়ানট প্রকাশ করবে ‘নজরুলসংগীত: তথ্য, ভাব ও সুরসন্ধান’ গ্রন্থ। এ গ্রন্থের সম্পাদনা করেছেন মফিদুল হক। গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত বরেণ্য শিল্পী সোহরাব হোসেনকে। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ভাবসন্ধান নিয়ে কথা বলবেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী।
ছায়ানটের যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত রায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনে প্রকাশিত হতে যাওয়া গ্রন্থটির কাজ শুরু হয়েছে আরও আট বছর আগে। বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সন্জীদা খাতুনের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়েছে এই গ্রন্থের কাজ।
ছায়ানটের সহসভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, খণ্ডিত নয়, পূর্ণাঙ্গ নজরুলকে প্রচার–প্রসার করতে চায় ছায়ানট। তাই নজরুলসংগীত শেখানো থেকে শুরু করে যতভাবে তাঁর সৃষ্টি তুলে ধরা যায়, সে চেষ্টা করা হয়েছে।
সাম্য, দ্রোহ ও প্রেমের কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ২৫ মে জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করবে। সেদিন ভোর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির সমাধি ভরে উঠবে অগণিত মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের ফুলে। সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র ছায়ানটও তাদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পালন করে আসছে নজরুলজয়ন্তী। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে।