রাজধানীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘কিশোর গ্যাং’জড়িত অভিযোগে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সংশ্লিষ্ট র্যাব কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা পাঁচটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তাঁরা মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, আদাবর, ঢাকা উদ্যান ও ধানামন্ডি এলাকায় চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতেন। তাঁরা পথচারীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকাপয়সা ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিতেন।
র্যাব-২–এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শনিবার ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা যেসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য, সেগুলো হলো আক্তার গ্যাং, মাসুম গ্যাং, পিনিক গ্যাং, বাপ্পী গ্যাং ও লিমন গ্যাং। এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁরা দিনে গাড়ির চালক, চালকের সহকারী, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণশ্রমিক, পুরোনো মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে রাতে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারির মামলা আছে।
এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, বেড়িবাঁধ, আদাবর, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা শিহাব করিম।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ২৫ জনের মধ্যে রয়েছেন আক্তার গ্যাংয়ের প্রধান মো. আক্তার (২৪), আক্তারের সহযোগী মো. শাকিল (১৯), মো. রাসেল (২০), মো. ফয়সাল (১৯) এবং মো. আশিক (২৩)। এ ছাড়া মাসুম গ্যাংয়ের প্রধান মো. মাসুম (২৫), মো. শাওন (২৩), পিনিক গ্যাংয়ের প্রধান হাসান (২৯), হাসানের সহযোগী মেহেদী হাসান (২৫), মো. আনোয়ার হোসেন (২২), ইমন (২১), বাপ্পী গ্যাংয়ের প্রধান মো. বাপ্পী (২৭), বাপ্পীর সহযোগী আবদুল জলিল (২৭), আশরাফুল (২২)। এ ছাড়া লিমন গ্যাংয়ের প্রধান মো. লিমন (২২), লিমনের সহযোগী মো. ফয়সাল প্রকাশ আলিম (২৫), রাকিব প্রকাশ (১৯), মো. সুমন (২৩), মো. ফিরোজ (৩২), মো. সুজন মৃধা (৩২), মো. মমিন ইসলাম (২০), মো. নয়ন (১৯), মো. জুয়েল (২৩), সুমন মিয়া (২১) ও মো. রাবেল মিয়া (২২)। আসামিদের কাছ থেকে চাপাতি, ছুরি, চাকু, চায়নিজ কুড়ালসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।