চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাত–ফেরত আরও একজন যাত্রীর সঙ্গে থাকা কার ওয়াশিং মেশিন থেকে স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর নাম মোহাম্মদ মোরশেদ। এর আগে মো. শফিকুল ইসলাম নামের এক যাত্রীর কাছ থেকেও সোনা উদ্ধার হয়। তাঁরা দুজনই একই ফ্লাইটে একই কায়দায় সোনা এনেছেন।
আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম কাস্টমস, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এবং কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দুই যাত্রীর কাছ থেকে মোট ২ কেজি ৪৪০ গ্রাম ওজনের সোনা জব্দ করেন। দুই যাত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সোনাগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য আড়াই কোটি টাকা।
শনিবার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা ও কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মো. শফিকুল ইসলাম নামের যাত্রীর কার ওয়াশিং মেশিনের মোটরের ভেতর থেকে স্বর্ণপিণ্ড উদ্ধার করেন। কর্মকর্তারা জানান, জব্দ করা স্বর্ণপিণ্ডের ওজন ১ কেজি ১৪০ গ্রাম। এর মধ্যে ২৪ ক্যারেটের ১ হাজার ১০০ গ্রাম ও ২২ ক্যারেটের ৪০ গ্রাম স্বর্ণপিণ্ড রয়েছে। এসব স্বর্ণপিণ্ডের আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি টাকার বেশি। এ ঘটনায় যাত্রী মো. শফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়।
বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আল আমিন প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, ওই যাত্রী সোনা গলিয়ে পিণ্ড তৈরি করে কার ওয়াশিং মেশিনের ভেতর বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রেখেছিলেন। সোনা পাচারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকায় যাত্রীর ওয়াশিং মেশিন খুলে পরীক্ষা করা হয়। যন্ত্র খোলার পরই বেরিয়ে আসে স্বর্ণপিণ্ড।
সোনার চালানটি ধরা পড়ার পর চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তারা একই ফ্লাইটে আসা মোহাম্মদ মোরশেদ নামের আরেক যাত্রীর কাছ থেকে একই ধরনের স্বর্ণপিণ্ড জব্দ করেন। তিনিও ওয়াশিং মেশিনের ভেতর সোনা লুকিয়ে রেখেছিলেন। তাঁর কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ গ্রাম স্বর্ণপিণ্ড জব্দ করা হয়। কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মহিউদ্দিন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে কর্মকর্তারা এসব স্বর্ণপিণ্ড জব্দ করেন।
কর্মকর্তারা জানান, আলাদা দুই ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।