রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ‘সিনিয়র-জুনিয়র’ দ্বন্দ্বের জেরে জামাল হোসেন (১৮) নামের একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত জামাল জুনিয়র গ্রুপের। তিনি একটি ওয়েল্ডিং কারখানায় কাজ করতেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সিনিয়র গ্রুপের পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জামালের বন্ধু আসাদুল্লাহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কোচিং শেষ করে কুতুবখালী উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে যাই। সেখানে জামাল, সজীব, সুমনসহ আমরা কয়েকজন বন্ধু দাঁড়িয়ে ছিলাম। রাত আটটার দিকে জামালকে সিনিয়র গ্রুপের সিফাত ডেকে নিয়ে যায়। কিছু সময় পর চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে যাই এবং সেখানে জামালকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে আমরা বন্ধুরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করি।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, রাত সোয়া নয়টার দিকে জামালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর কিছুক্ষণ পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় আনা হয় সিনিয়র গ্রুপের আমির হোসেনকে (২৩)।
হাসপাতালে আমিরের বন্ধু ইমন গাজী প্রথম আলোকে বলেন, দুই দিন আগে জামালদের সঙ্গে কোনো কিছু নিয়ে আমিরের বিরোধ সৃষ্টি হয়। কিন্তু মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে মীমাংসাও হয়েছিল। তবে আজ ওই বিষয় নিয়ে আবার কথা–কাটাকাটি এবং পরে মারামারি হয়। এতে আমির আহত হন।
পরে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানার নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। এসআই সোহেল প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ইমন গাজী, মানিক, আসাদুল্লাহ, মুজাহিদ ও জাহিদ হাসান।
নিহত জামালের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। তিনি সপরিবার যাত্রাবাড়ী থানার কাজলা এলাকার ভাঙা প্রেসে থাকতেন।