রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। তাঁরা হলেন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য গোলাম সারোয়ার রাহাত ওরফে মামুন ওরফে আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে লিটন ও নব্য জেএমবির সদস্য মিজানুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। জঙ্গিরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি বলে জানিয়েছে এটিইউ।
এটিইউ সূত্র জানায়, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরা থেকে জেএমবির সদস্য গোলাম সারোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় একই সময় এটিইউর আরেকটি দল ভাটারা থানার সোলমাইদ এলাকা থেকে নব্য জেএমবির আরেক সদস্য মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
এটিইউর পুলিশ সুপার (অপারেশনস, মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৪ সালে হাতিরঝিল এলাকা থেকে গোলাম সারোয়ার ও তাঁর সহযোগী জিয়াউল ইসলাম ওরফে জিকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি, তাঁদের ব্যবহৃত গাড়ি থেকে ডেটোনেটর ও বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়। গোলাম সারোয়ারকে এর আগে ২০১০ সালে রমনা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় একটি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন আরও জানান, উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও প্রচেষ্টার অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানায় বিস্ফোরক উপাদানাবলি আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালের ২৩ আগস্ট চিরিরবন্দর থানার তেঁতুলিয়ার মাঝাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্যসহ নব্য জেএমবির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করলেও ঘটনাস্থল থেকে মিজানুর রহমান কৌশলে পালিয়ে যান। মিজানুর রহমান গ্রেপ্তার এড়াতে পাঁচ বছর ধরে ঢাকা, গাজীপুর, আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন।