ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামে আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের অনেক ভয়াবহ-রোমহর্ষ ঘটনা আছে। তদন্ত শেষ না হলে এসব ঘটনা বলা ঠিক হবে না।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন।
মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের মামলায় মিল্টন এখন ডিবির হেফাজতে রিমান্ড আছেন। মিরপুর থানায় করা এই মামলায় গতকাল রোববার তাঁকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন কিছু অসহায়, বৃদ্ধ, অনাথ, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পুঁজি করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন। এই অর্থ তাঁর ব্যাংক হিসাবে জমা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি কোনো টাকা খরচ করছিলেন না। আশ্রয়কেন্দ্রের কাউকে তিনি চিকিৎসা দিচ্ছিলেন না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অসহায় মানুষদের খাবার ও ওষুধের ব্যবস্থা করতে আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা এগিয়ে এসেছে বলে জানান হারুন অর রশীদ।
ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অসহায় বৃদ্ধ ও শিশুদের ব্যয়ভার বহন করবে শামসুল হক ফাউন্ডেশন; পাশাপাশি তারা একজন চিকিৎসককে সার্বক্ষণিক আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা করবে।
প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত বুধবার মিল্টনকে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মিল্টনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে।
কিছুদিন ধরে মিল্টনের বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছিল। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তিনি ফেসবুকে ভিডিও প্রচার করে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরই মধ্যে মিল্টনের সঙ্গে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজন তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন।