জামায়াত কর্মী সন্দেহ

ঢাকায় ‘ইলেকট্রনিক সামগ্রী কিনতে এসে’ বগুড়ার ২ মাদ্রাসাছাত্র আটক

আটক
প্রতীকী ছবি

বগুড়া থেকে ঢাকায় ইলেকট্রনিক সামগ্রী কিনতে এসে শাহাদাত হোসেন (২১) ও আবুল বাশার (২৪) নামের দুই তরুণ আটক হয়েছেন। এমন দাবি করেছেন তাঁদের সঙ্গে ঢাকায় আসা আরেক তরুণ। তাঁর ভাষ্য, আজ বুধবার সকালে গুলিস্তানের একটি বিপণিবিতানে যান তাঁরা। এ সময় পুলিশ তাঁদের মুঠোফোন নিয়ে নেয়। পরে দুজনকে আটক করে পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, শুধু দুই তরুণই নন, তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা জামায়াতে ইসলামীর হয়ে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

আটক শাহাদাত ও আবুল বাশার বগুড়ার শেরপুরের আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তাঁদের সঙ্গে আসা আবু সালেহ স্থানীয় একটি কলেজে পড়েন। তাঁরা শেরপুরে একই মেসে থাকেন।

আবু সালেহ আজ বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁরা শেরপুর থেকে ঢাকার বাসে ওঠেন। আজ সকালে ঢাকার টেকনিক্যাল মোড়ে নামেন। পরে আরেকটি বাসে গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে যান। বাসটি গুলিস্তানে পৌঁছানোর পর সকাল নয়টার দিকে তাঁরা মার্কেটটিতে ঢোকেন। সব দোকান তখনো খোলেনি। এ সময় শাহাদাত ও বাশার মার্কেটের ভেতরে বসেন। আর তিনি মার্কেটের বাইরে ছিলেন।

আবু সালেহ আরও বলেন, কিছুক্ষণ পরে দুজন পুলিশ সদস্য এসে বসে থাকার কারণ জানতে চান। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা জানতে চান, তাঁদের দোকান আছে কি না। জবাবে শাহাদাত ও বাশার জানান, তাঁদের কোনো দোকান নেই। তাঁরা মালামাল (পণ্য) কিনতে এসেছেন। এরপর পুলিশ সদস্যরা দুজনের মুঠোফোন চেয়ে নেন। এরপর একজন পুলিশ সদস্য বলেন, ‘চলেন, আমার অফিসারের কাছে।’

পুরো বিষয়টি কিছুটা দূর থেকে দেখছিলেন আবু সালেহ। তিনি ভেবেছিলেন, কাছে গেলে পুলিশ হয়তো তাঁকেও আটকাতে পারে। তাই তিনি আর কাছে যাননি।

পুলিশ দুজনকে নিয়ে যাওয়ার পর এলাকার এক ছোট ভাইকে ফোন করে বিষয়টি জানান আবু সালেহ। পরে ওই ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে শাহাদাত ও বাশারকে খুঁজতে বের হন। খোঁজাখুঁজির পর বংশাল থানায় গিয়ে তাঁদের পান। এ সময় পুলিশ তাঁদের (সালেহ ও ছোট ভাই) কাছ থেকেও মুঠোফোন নিয়ে নেয়। মুঠোফোন তল্লাশির পর ফেরত দিয়ে তাঁদের থানা থেকে চলে যেতে বলে পুলিশ। এ সময় তাঁদের জানানো হয়, শাহাদাত ও বাশারকে আটক করা হয়েছে।

আবু সালেহ বলেন, মঙ্গলবার রাতে ইউটিউবে চ্যানেলে দেখতে পান, গুলিস্তানের স্কয়ার সুন্দরবন মার্কেটে কম দামে ইলেকট্রনিক সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। এরপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, মার্কেট থেকে ইলেকট্রনিক সামগ্রী কিনে এনে তা শেরপুরে বিক্রি করে লাভ করবেন।

জানতে চাইলে বুধবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মো. জাফর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুই তরুণসহ আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এখন তাঁদের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় মামলা করা হবে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।