বিভিন্ন পেশার আড়ালে মাদক ব্যবসা করেন তাঁরা

গ্রেপ্তার চক্রের পাঁচ সদস্য
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে আইস, ইয়াবাসহ একটি চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার পৃথক অভিযান চালিয়ে এই সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১১ হাজার ২০০টি ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম আইস।

ডিএনসির ঢাকা মহানগর উত্তরাঞ্চলের উপপরিচালক রাশেদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, একটি চক্র টেকনাফ থেকে ইয়াবা ও আইস এনে ঢাকা ও ফতুল্লায় বিক্রি করছিল। চক্রটি গড়ে তোলা হয়েছিল ঢাকা ও ফতুল্লাকেন্দ্রিক। বিভিন্ন পেশার আড়ালে চক্রের সদস্যরা মাদক ব্যবসা করছিলেন।

অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চক্রের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এটির সদস্যদের নজরদারির আওতায় আনা হয়। পরে ডিএনসির উত্তরাঞ্চলের উত্তরা, ধানমন্ডি, গুলশান, তেজগাঁও ও রমনা সার্কেলের সমন্বয়ে গঠিত টিম টানা দুই দিন অভিযান চালিয়ে ওই সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিষয়ে যা বলল ডিএনসি

চক্রের সদস্য রফিক উল্লাহকে (২২) এক হাজার ইয়াবা, ২০০ গ্রাম আইসসহ হাতিরঝিল থানাধীন নয়াটোলা পাগলা মাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পেশায় একজন মুদিদোকানদার। বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে।

অন্যদের মধ্যে সরওয়ার কামালকে (২৩) দুই হাজার ইয়াবাসহ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন বেগুনবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একজন শ্রমিক। তাঁর বাড়িও টেকনাফে।

ইমরান হোসেনকে (৩০) ফতুল্লা থেকে এক হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। বাড়ি বরিশালে।

গ্রেপ্তার চক্রের আরও দুই সদস্য

মহাসিনকে (৩২) চার হাজার ইয়াবা, ইয়াবা বিক্রির তিন লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি টি-শার্ট ও বেল্ট বিক্রি করেন। বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।

মিরাজ শেখকে (৩৩) দুই হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একজন অটোরিকশাচালক। বাড়ি রাজবাড়ীতে।

চক্রের অন্যতম সদস্য রফিক উল্ল্যাহর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে প্রান্ত ভট্টাচার্য (২৫) ও মামুনুর রশীদ মিমকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রান্তর কাছ থেকে ১ হাজার ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ২০ হাজার টাকা এবং মামুনুরের কাছ থেকে ২০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। প্রান্ত একটি পরিবহন কোম্পানির সুপারভাইজার (তত্ত্বাবধায়ক)। তাঁর বাড়ি নাটোরে। মামুনুর পেশায় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি। তাঁর বাড়িও নাটোর জেলায়।