জুবায়ের হাসান রাফিত। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি
জুবায়ের হাসান রাফিত। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি

জুবায়ের হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন সহপাঠী রাজিন

ঢাকা কমার্স কলেজের ছাত্র জুবায়ের হাসান রাফিত হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তার সহপাঠী চৌধুরী রাজিন ইকবাল (১৮)। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ১৬৪ ধারায় তিনি জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত–সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, দাবার বোর্ড নিয়ে ঝগড়ার জেরে রাজিন ইকবাল বাসায় ডেকে নিয়ে সহপাঠী জুবায়েরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। ছেলেকে পালাতে সাহায্য করেছেন রাজিনের বাবা। র‍্যাব হবিগঞ্জের মাধবপুর এলাকা থেকে তাঁকে গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করে।

গত শনিবার রাতে মিরপুর কমার্স কলেজের পাশের স্টাফ কোয়ার্টারের একটি ভবনের তৃতীয় তলায় রাজিনের বাসা থেকে জুবায়েরের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সেখানে রাজিন ও তাঁর বাবা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।

আজ র‍্যাব-৪-এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজিনের কাছ থেকে কলেজের শিক্ষকেরা একটি দাবার বোর্ড জব্দ করেন। পরে রাজিন নিজেকে কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী দাবি করে কলেজের উপদেষ্টা বরাবর দাবার বোর্ডটি ফেরত দেওয়ার জন্য আবেদন করেন।

জুবায়ের ওই শ্রেণির ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিলেন। রাজিনের আবেদনে ক্লাসের নিয়মিত শিক্ষার্থী উল্লেখ করাকে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে কলেজের শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় জুবায়েরের সঙ্গে রাজিনের বিবাদ মীমাংসা করা হয়। এতে রাজিন ক্ষুব্ধ হন এবং জুবায়েরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার বিকেলে রাজিন কৌশলে জুবায়েরকে কমার্স কলেজের পাশে তাঁদের ভাড়া বাসায় ডেকে নেন। সেখানে আগের বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আবারও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রাজিন ধারালো বঁটি দিয়ে কুপিয়ে জুবায়েরকে হত্যা করেন।

রাজিন ঘটনাটি তাঁর বাবাকে জানালে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি জানার আগেই তিনি রাজিনকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন বলেও র‍্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।