গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার

পুরান ঢাকায় অ্যাসিড ছুড়ে মারার মামলায় গ্রেপ্তার ২

পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে এক নারীকে অ্যাসিড ছুড়ে মারার অভিযোগে করা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা–পুলিশ। এরপর তাঁদের এক দিনের রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা কারাগারে আছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার দুজন হলেন রায়হান মুজিব (২৫) ও তাঁর মা রানু বেগম (৪৫)। গত ২৫ জানুয়ারি দোহার থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মামলার অপর আসামি আলমগীর হোসেন এখনো পলাতক।

প্রকাশ্যে অ্যাসিড ছুড়ে মারার অভিযোগে ভুক্তভোগী নারীর আরজিকে ১৭ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানা মামলা হিসেবে রেকর্ড করে। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন আসামিরা। মামলার প্রধান আসামি রায়হান ভুক্তভোগী নারীর চাচাতো ভাই। আর রায়হানের শ্যালক আলমগীর। তাঁদের সবার বাড়ি ঢাকার দোহার এলাকায়।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে আসামি রায়হানের কলহ চলছে। এ নিয়ে একাধিকবার মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। সবশেষ গত বছরের ১২ আগস্ট ওই নারীকে পিটিয়ে জখম করেন রায়হান। এরপর তিনি দোহার থানায় মামলা করতে যান। তবে মামলা নেওয়া হয়নি।

এ অবস্থায় তিনি গত ১১ ডিসেম্বর আইনি পরামর্শ নেওয়ার জন্য ঢাকার আদালতে এক আইনজীবীর চেম্বারে যান। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে তিনি সন্ধ্যা সাতটার দিকে রায়সাহেব বাজারে চিত্রামহল সিনেমা হলের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় আলমগীর তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে এসিড ছুড়ে মারেন। তাঁর চিৎকারে মুজিব, আলমগীরসহ অন্যরা পালিয়ে যান।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, অ্যাসিডে গুরুতর জখম হওয়ার পর ভুক্তভোগী নারীকে নিয়ে যাওয়া হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। ১১ জানুয়ারি তিনি রায়হানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার অ্যাসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশি মামলা করেন। ঢাকার জেলা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া কোতোয়ালি থানাকে এ মামলার আরজিকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ১৭ জানুয়ারি ভুক্তভোগী নারীর আরজিকে থানা মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।

চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ওই নারীর শরীরে ক্ষত সৃষ্টির কারণ ‘কেমিক্যাল বার্ন’।