রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ক্যাম্পাসের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারকে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলায় দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী-আল-ফারাবী আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
সিএমএম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হেমায়েত উদ্দিন খান প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মুরাদ হোসেনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে লালবাগ থানা-পুলিশ। আসামিপক্ষ এই আবেদন বাতিল করে জামিন চায়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মুরাদ হোসেনের পক্ষ থেকে আদালতে দাবি করা হয়েছে, তিনি হয়রানির শিকার।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর মা মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় যৌনপীড়ন ও শ্লীলতাহানির মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত, তখন সে ওই শিক্ষকের কোচিংয়ে পড়তে যেত। মেয়েটিকে গত বছরের ১০ মার্চসহ বিভিন্ন সময় নানাভাবে যৌনপীড়ন করেছেন তিনি।
এর আগে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগে গতকাল রাতে মুরাদ হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপর গতকাল রাতেই তাঁকে কলাবাগানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত শনিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পাস থেকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছিল। সংযুক্ত করার বিষয়ে অফিস আদেশে বলা হয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে আসছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ছাত্রী ও অভিভাবকেরা। এ দাবিতে ছাত্রীরা গত রোববার আজিমপুর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। একই দিনে অভিভাবকেরা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন।
অভিভাবক ও ছাত্রীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কোচিংয়ে পড়ানোর সময় ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন।