চুরির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন এক মাস। সেখান থেকে জামিনে বের হয়েছেন মাত্র চার দিন হলো। এরপর তিনি আবার চুরি করলেন এবং পুলিশের হাতে আবারও গ্রেপ্তার হলেন।
গ্রেপ্তার এই ব্যক্তির নাম মো. শাহাদাত। রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শাহাদাত চুরির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। সর্বশেষ গ্রেপ্তারের চার দিন আগে তিনি জামিনে বের হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে চুরির একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ বলছে, রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় ১৯ অক্টোবর এক পুলিশ সদস্যের বাসায় ঢুকে টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার তদন্তে নেমে পরের দিন শাহাদাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই চুরির ঘটনায় শাহাদাতের বাইরে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন শাহাদাতের সহযোগী মো. ইয়াসিন ও চুরির স্বর্ণের ক্রেতা মৌচাক এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রতন সূত্রধর।
পুলিশ জানায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর শাহজাহানপুরের আরেকটি চুরির মামলায় শাহাদাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাধারণত তিনি দিনের বেলায় বিভিন্ন বাসার দরজার হাতল ভেঙে ভেতরে ঢুকে টাকা, স্বর্ণালংকার, টেলিভিশন, কম্পিউটারের মনিটর প্রভৃতি চুরি করেন। শাহাদাতের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার পূর্ব দেলভোগ গ্রামে। তবে তিনি পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শাহজাহানপুর এলাকায় থাকেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ইয়াসিনের বাবা মৌচাক এলাকায় ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করেন। শাহাদাত স্বর্ণালংকার চুরি করে নিজের স্ত্রীকে দেন। এরপর স্ত্রী সেই স্বর্ণালংকার ইয়াসিনের বাবাকে সঙ্গে নিয়ে জুয়েলারি দোকানে বিক্রি করেন।