রাজধানীর ফার্মগেটের সেজান পয়েন্ট মার্কেটের চতুর্থ তলায় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে দুটি জুয়েলারি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দোকান মালিক সমিতির দাবি, দুটি দোকান থেকে ১৯০ ভরি সোনার গয়না চুরি হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অপরাধ শনাক্তকরণ দল ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে দুজন চোর সেজান পয়েন্ট মার্কেটের পেছনের দোতলার বারান্দার গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। পরে তারা সিঁড়ি বেয়ে চতুর্থ তলায় সরণি ও এলভি জুয়েলার্স দোকানের কলাপসিবলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা স্বর্ণালংকার নিয়ে যেখান দিয়ে এসেছিলেন, সেখান দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পুলিশ মার্কেট পরিদর্শন করেছে।
চুরির বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে আজ সন্ধ্যায় সেজান পয়েন্ট মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এলভি জুয়েলার্স থেকে ৪০ ভরি ও সরণি জুয়েলার্স থেকে ১৫০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে।
পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার রুবাইয়াত জামান আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, মার্কেটের সামনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) থাকলেও পেছনে ছিল না। ফুটেজে মার্কেটের বারান্দায় অন্ধকারে দুজনকে হাঁটতে দেখা গেছে। আরেক ফুটেজে এক চোরকে হেলমেট পরা অবস্থায় দেখা গেছে।
রুবাইয়াত জামান বলেন, দুই দিন আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে সেজান পয়েন্টের মার্কেটের পেছনে ক্যামেরা বসাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা মার্কেটের পেছনে কোনো সিসি ক্যামেরা বসাননি। মার্কেটের পেছনে সিসি ক্যামেরা থাকলে চোর শনাক্ত করা সহজ হতো। মার্কেটের বাইরে সামনের দিকে নিরাপত্তাকর্মী থাকলেও পেছনে ছিলেন না। এ ছাড়া ছয়তলা মার্কেটের প্রতিটি তলায় নিরাপত্তাকর্মীর পাহারা থাকলে চুরি হতো না।
তবে পুলিশ এ কথার বিপরীতটা মনে করেন দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল। মার্কেটের ভেতরে কেন নিরাপত্তাকর্মী নেই, জানতে চাইলে শরিফুল ইসলাম বলেন, ভেতরে দু-একজন নিরাপত্তাকর্মীকে দায়িত্ব দিলে সেটা আরও বিপজ্জনক। তখন চোরের দল নিরাপত্তাকর্মীদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে চুরি করত। তবে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাঁরা মার্কেটের পেছনে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কিন্তু এর আগেই চুরি হয়ে গেল।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আহাদ প্রথম আলোকে বলেন, এখন (সন্ধ্যা সাতটা) পর্যন্ত চুরি হওয়া দুই দোকানের কোনো মালিকই মামলা করতে আসেননি। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।