চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এক আদেশে দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের জন্য আবদুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের কথা জানানো হয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেনকে ভূরুঙ্গামারীতে বদলি করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামছুল আলম প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় আপাতত সাজ্জাদ হোসেনই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
জানা গেছে, কেন্দ্রওয়ারি এসএসসির প্রশ্নপত্রগুলো ঠিকমতো এল কি না, তা একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে কেন্দ্রসচিব ও একজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই (সর্টিং) করা হয়। এখানে এই কাজের মূল দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীন চলতি এসএসসি পরীক্ষায় ছয়টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এই অপকর্মের নেতৃত্বে ছিলেন একজন কেন্দ্রসচিব, যিনি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ঘটনাটি গত মঙ্গলবার ধরা পড়ে। এরপর গতকাল বুধবার চারটি বিষয়—গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা ও রসায়নের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ইতিমধ্যে এসব পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি দুই বিষয় উচ্চতর গণিত ও জীববিদ্যার পরীক্ষা নতুন প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে নির্ধারিত সময়েই নেওয়া হবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় উপজেলার নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রের সচিব মো. লুৎফর রহমান, সহকারী শিক্ষক মো. জোবাইর হোসেন ও মো. আমিনুর রহমান, বিদ্যালয়টির অফিস সহকারী মো. আবু হানিফসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান এবং শিক্ষক জোবাইর হোসেন ও আমিনুরকে। এরপর নতুন করে আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।