ইয়াবার চেয়ে ক্ষতিকর আইস। চিকিৎসকেরা বলছেন, আইস সেবনে নিদ্রাহীনতা, স্মৃতিবিভ্রম, মস্তিষ্কবিকৃতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে ইয়াবার প্রবেশ ঠেকানো এবং দেশের ভেতরে এই মাদকের বেচাকেনা বন্ধে এক দশক ধরেই হিমশিম অবস্থা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর। এর মধ্যেই নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভয়ংকর মাদক আইস। এই মাদক ক্রিস্টাল ম্যাথ নামেও পরিচিত, যা ইয়াবার চেয়ে ক্ষতিকর।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে আইসের চাহিদা তৈরি হওয়ায় চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে এই মাদক দেশে আসছে। মূলত ইয়াবা ব্যবসায়ীরাই চোরাই পথে মিয়ানমার থেকে এই মাদক নিয়ে আসছেন।
চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দেশে ৬৬ কেজি আইস বা ক্রিস্টাল ম্যাথ উদ্ধার হয়েছে। এই তথ্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি)। সরকারি এই সংস্থা বলছে, ২০১৯ সালের শুরুর দিকেও দেশে অপ্রচলিত মাদক ছিল আইস। তবে এখন এটি অপ্রচলিত কোনো মাদক নয়। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরের মাদকসেবীরা আইসের প্রতি ঝুঁকছে। শুরুতে ‘পরীক্ষামূলকভাবে’ ইয়াবার চালানের সঙ্গে অল্প পরিমাণে আইস আসত। এখন আইস আনতে বিপুল টাকা খরচ করছেন ইয়াবার কারবারিরা। কারণ, ইয়াবার চেয়ে এই মাদক বিক্রি করলে কারবারিদের লাভ বেশি।
আইসের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে চিকিৎসকেরা বলছেন, স্বচ্ছ কাচের (ক্রিস্টাল) মতো দেখতে এই মাদক সেবনে নিদ্রাহীনতা, স্মৃতিবিভ্রম, মস্তিষ্কবিকৃতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন ধরে এটি সেবনে ওজন হারানো, কিডনি ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা এবং বিষণ্নতা, স্ট্রোকসহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, গত চার মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আইস উদ্ধারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতাই বলে দিচ্ছে দেশে বিপুল পরিমাণে এই মাদক ঢুকছে। চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে উদ্ধার হওয়া ৬৬ কেজি আইসের মধ্যে ৯টি চালানই ছিল এক কেজির বেশি। এসব চালান ধরা পড়েছে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায়। এর আগে ২০২০ সালে দেশে আইস উদ্ধার হয়েছিল মাত্র ৬৫ গ্রাম। তবে ২০২১ সালে আইস উদ্ধার করা হয় ৩৬ কেজি ৭৯৪ গ্রাম। আর ২০২২ সালে আইস উদ্ধার হয় ১১৩ কেজি ৩৩১ গ্রাম।
জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধবিষয়ক সংস্থার (ইউএনওডিসি) বলেছে, বাজারে যত মাদক ঢোকে, তার মাত্র ১০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ফরেনসিক ল্যাবের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা প্রথম আলোকে বলেন, দেশে আইসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, ইয়াবাতে ম্যাথঅ্যামফিটামিন (একধরনের রাসায়নিক উপাদান) থাকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। আর আইসে ম্যাথঅ্যামফিটামিন থাকে ৯৬ শতাংশ। এটি অল্প পরিমাণে সেবনে সাময়িকভাবে শারীরিক ও মানসিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এ কারণে ইয়াবাসেবীরা ইয়াবার চেয়ে আইস সেবনে আগ্রহী হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ঢাকায় এক গ্রাম আইস বিক্রি হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায়। উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোতে যারা মাদকসেবী, তাদের কাছে আইস বেশ জনপ্রিয়। আবার যারা ইয়াবায় আসক্ত, তারাও নতুন এই মাদক বেশি পরিমাণে গ্রহণ করছে এখন।
গত বছরের নভেম্বরে ঢাকার মহাখালী থেকে চন্দন রায় নামের এক মাদক কারবারিকে ৫০০ গ্রাম আইসসহ গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তাঁকে ২০২০ সালেও আইসসহ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকায় মাদক চোরাচালানে জড়িত একটি চক্রের নেতা চন্দন। গত দেড় বছরে তাঁর চক্রের ১০ জনের বেশি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই চক্রের সদস্যরা উচ্চবিত্ত পরিবারের মাদকসেবীদের বাসায় আইস পৌঁছে দেন। চন্দন এখন মাদক মামলায় কারাগারে।
দেশে মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা কতো, তা জানতে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট একটি সমীক্ষা করে। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, দেশে মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ লাখ। তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ধারণা, দেশে মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৭০ লাখের বেশি। তবে অধিদপ্তর কখনো এ ধরনের কোনো সমীক্ষা করেনি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, যে পথে দেশে ইয়াবার চালান ঢুকছে, সেই একই পথে ঢুকছে আইস। ভয়ংকর এই মাদক আসছে মিয়ানমার থেকে।
কক্সবাজারের টেকনাফে কর্মরত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, মিয়ানমার থেকে নৌপথে নাফ নদী পেরিয়ে ৯০ শতাংশ আইস দেশে আসছে। গত দেড় বছরে অধিকাংশ বড় চালানই ধরা পড়েছে টেকনাফ সীমান্তে। বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি সীমান্ত দিয়েও আইস আসছে। নৌপথ ও দুর্গম পাহাড়ের অন্তত ১৫টি রুট দিয়ে আইস আসছে দেশে। যারা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার চালান নিয়ে আসছে, আইসের চালানেও তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারবারির সঙ্গে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও সখ্য রয়েছে।
ওই কর্মকর্তা জানান, টেকনাফ অঞ্চল দিয়ে মিয়ানমার থেকে আসা মাদক চক্রগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন নবী হোসেন নামের এক রোহিঙ্গা। তিনি নাফ নদীর ওপারে (মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে) দুর্গম একটি চরে থাকেন। টেকনাফ ও উখিয়ার শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের কিছু গোষ্ঠীর সঙ্গে নবীর যোগাযোগ রয়েছে।
কক্সবাজার ও টেকনাফে কর্মরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, যারা মিয়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে আসত, তারাই এখন আইস নিয়ে আসছে। টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি আইসের চালান নিয়ে আসছে নবী হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি চক্র। তাঁকে জীবিত অথবা মৃত ধরিয়ে দিতে ২০২২ সালের মার্চে বিজিবির পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
টেকনাফ–২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, দেশে আইস আসার প্রবণতা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে। তাঁর পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, ইয়াবা আসা আগের চেয়ে কমেছে। ইয়াবা নিয়ে আসার ক্ষেত্রে যেসব চক্র সক্রিয়, তারাই আইস নিয়ে আসছে বলে মনে করেন তিনি।
বিজিবি তৎপর রয়েছে বলেই সাম্প্রতিক সময়ে টেকনাফ সীমান্তে মাদকের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে বলে জানান লে. কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ।
গত শনিবার (৬ মে) কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালীর শফিউল্লাহ কাটা এলাকা থেকে ২৪ কেজি ২০০ গ্রাম আইসসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে র্যাব সাংবাদিকদের জানায়, আইসের ওই চালানের গন্তব্য ছিল ঢাকা। মিয়ানমার থেকে আসা চালানটি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মজুতের পর চার ভাগে ভাগ করে নানা কৌশলে ঢাকায় সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল মাদক কারবারিদের।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গত রোববার কক্সবাজারে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এখন সবচেয়ে আলোচিত মাদক হলো আইস বা ক্রিস্টাল ম্যাথ। সাম্প্রতিক সময়ে আইসের মাধ্যমে নেশার প্রচলন বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদক কারবারিরা পার্শ্ববর্তী দেশ (মিয়ানমার) থেকে কৌশলে আইসের চালান নিয়ে আসছেন। উখিয়ায় আইসের চালানের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা চারজনের মধ্যে একজনের নাম আলাউদ্দিন। তিনি একসময় পুলিশ বাহিনীতে ছিলেন কনস্টেবল পদে। ২০১৭ সালে মাদকসহ ধরা পড়ার পর তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, আশির দশকের শুরুতে দেশে মাদক বলতে মূলত ছিল ফেনসিডিল। ভারত সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা দিয়ে এই মাদক দেশে ঢুকত। তবে গত এক দশকে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ফেনসিডিলের পরিবর্তে দেশে ইয়াবার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। এখন আসছে আইস।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে অপ্রচলিত বিভিন্ন ধরনের মাদকও ধরা পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফেনইথাইলামিন, এলএসডি, ডায়মিথাইলট্রিপ্টামাইন বা ডিএমটি, ম্যাজিক মাশরুম, খাত (ইথিওপিয়ার উঁচু ভূমিতে জন্মানো একধরনের উদ্ভিদের পাতা), কুশ (মারিজুয়ানা প্রজাতির গাছ), এক্সট্যাসি, হেম্প, ফেন্টানিল, মলি ও এডারল। বিদেশে এসব মাদক প্রচলিত হলেও বাংলাদেশে অপ্রচলিত। কুশ, হেম্প ও খাত ছাড়া অন্যগুলো কৃত্রিম মাদক।
এক্সট্যাসি, মলি ও এডারলের মূল উপাদান অ্যামফিটামিন, যা ইয়াবা তৈরিরও মূল উপাদান। তবে নতুন এসব মাদকের প্রভাব ইয়াবার চেয়ে বেশি। ফেন্টানিলের মূল উপাদান আফিম। গত তিন বছরে এসব মাদক বিভিন্ন দেশ থেকে নানাভাবে এ দেশে এসেছে। কোনো চালান এসেছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে, কোনোটি বিদেশ থেকে উড়োজাহাজে কোনো যাত্রী নিয়ে এসেছেন। আবার কোনো কোনো মাদক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ধরা পড়েছে।
মাদক ব্যবসায়ীদের মূল লক্ষ্য থাকে ঢাকার ‘বাজার ধরা’। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খন্দকার মহিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, অনেক মানুষ বসবাস করার কারণে স্বাভাবিক কারণেই মাদক কারবারিরা ঢাকাকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে চেষ্টা করে। তারা মনে করে ঢাকায় মাদকের বড় বাজার রয়েছে। ঢাকায় যেন আইসসহ অন্যান্য মাদক ঢুকতে না পারে, সে জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো ২০১৮ সালের ৪ মে ‘চল যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ স্লোগানে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে। অভিযান শুরুর এক বছরের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন ৩৫৮ জন মাদক ব্যবসায়ী। তাঁদের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১৬৯ জন, র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১০৬ এবং বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১২ জন নিহত হন। বাকি ৭১ মাদক ব্যবসায়ী নিজেদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন জানিয়েছিল। ওই অভিযানে শুধু কক্সবাজার জেলাতেই নিহত হন ৯৫ জন।
তবে মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সর্বাত্মক অভিযানের পর সীমান্ত পথে ইয়াবা আসা কমেনি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, অভিযান শুরুর বছরে (২০১৮ সালে) দেশে ৫ কোটি ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। গত বছর উদ্ধার হয়েছে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৯টি ইয়াবা। আর চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে উদ্ধার হয়েছে ৮৮ লাখ ৫৭ হাজার ২৪২টি ইয়াবা ট্যাবলেট।
জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধবিষয়ক সংস্থার (ইউএনওডিসি) মাদকসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ, লাওস, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের বাজার লক্ষ্য করে আইস তৈরি করছে মিয়ানমার। জাপান ও অস্ট্রেলিয়াতেও আইসের বাজার তৈরির চেষ্টা করছে মিয়ানমার।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস ও গোয়েন্দা) তানভীর মমতাজ প্রথম আলোকে বলেন, আইস বা ক্রিস্টাল ম্যাথ যেভাবে আসছে, তা সবাইকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। এটি কীভাবে ঠেকানো যায়, সেই কর্মপন্থা ঠিক করা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, মিয়ানমারের অবস্থান সহযোগিতামূলক নয়।
বিভিন্নভাবে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারা সহযোগিতা করছে না। তা ছাড়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিয়ানমারের মাদক চক্রের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। তাদের মাধ্যমেও মাদক আসছে, যা দেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।