রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শফিকুর রহমান-ফরিদা ইয়াসমিন দম্পতি হত্যাকাণ্ডের ৯ দিন পার হলেও কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি মামলাটির ছায়া তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও র্যাব। তাদের তদন্তেও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে একটি সিসিটিভি থাকলেও সেটি ছিল নষ্ট।
২০ জুন সকালে যাত্রাবাড়ীর মোমেনবাগে নিজ বাড়ির নিচতলার পার্কিং থেকে শফিকুর রহমানের (৬০) ও দ্বিতীয় তলার খাটের ওপর থেকে তাঁর স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের (৫০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত দম্পতির ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। তিনি পুলিশের বিশেষ শাখার উপপরিদর্শক (এসআই)। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সময় নিহত দম্পতির ছেলে মামুন ও তাঁর স্ত্রী বাসায় ছিলেন না।
শফিকুর-ফরিদা দম্পতি হত্যা মামলাটি তদন্ত করছে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, জোড়া খুনের কোনো সূত্র (ক্লু) পাওয়া যায়নি। পুলিশ এখনো এই হত্যাকাণ্ডের কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না। ঘটনাস্থলের আশপাশে কোনো সিসিটিভি নেই। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে একটি সিসিটিভি থাকলেও সেটি নষ্ট।
মামলাটির ছায়া তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভস্টিগেশন (পিবিআই) ও র্যাব। পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রথাগত তদন্তে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই পিবিআই এখন প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুনি শনাক্তের চেষ্টা করছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত দম্পতির ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাব-১০। আজ এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব-১০–এর পরিচালক (পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছে তাঁর মা-বাবার খুনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি কিংবা তাঁর পরিবার এ বিষয়ে তদন্ত সহায়ক কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তারপরও বিভিন্ন বিষয় সামনে রেখে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করা হচ্ছে।