অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছেন ভিকারুননিসার ছাত্রী ও অভিভাবকেরা। ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি
অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছেন ভিকারুননিসার ছাত্রী ও অভিভাবকেরা। ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি

যৌন হয়রানি: ভিকারুননিসার শিক্ষক গ্রেপ্তার, জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ক্যাম্পাসের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারকে যৌন হয়রানির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

লালবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাঈদ ইবনে সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সোমবার রাতে মুরাদ হোসেনকে কলাবাগানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ পরিদর্শক সাঈদ ইবনে সিদ্দিক আরও বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষার্থীর মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় মামলা করেন। ধারাটি মূলত শ্লীলতাহানি-সংক্রান্ত। এ মামলায় মুরাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগে মুরাদ হোসেনকে গতকাল রাতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল কলেজের পরিচালনা কমিটির এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত শনিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ওই ক্যাম্পাস থেকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে যুক্ত করা হয়েছিল।

শনিবার অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ওই ক্যাম্পাস (আজিমপুর শাখা) থেকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছিল। সংযুক্ত করার বিষয়ে অফিস আদেশে বলা হয়েছিল, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে আসছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ছাত্রী ও অভিভাবকেরা। এ দাবিতে ছাত্রীরা গত রোববার আজিমপুর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। একই দিনে অভিভাবকেরা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন।

অভিভাবক ও ছাত্রীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কোচিংয়ে পড়ানোর সময় ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন।