তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে চোরাই ও ছিনতাই হওয়া মুঠোফোনের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) পাল্টে ফেলা হয়। এর ফলে ফোনগুলোর অবস্থান নির্ণয় করা যায় না। এরই ফাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হয় ফোনগুলো। ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন অপরাধে।
মুঠোফোন চুরি ও ছিনতাই করে, এমন একটি চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর নগর গোয়েন্দা পুলিশ এসব তথ্য জানায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার, রেলস্টেশন ও দেওয়ান বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে ১৫৬টি মুঠোফোন, ৭টি ল্যাপটপ, আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের কাজে ব্যবহৃত ৮টি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন মো. খোরশেদ আলম (৩২), মো. কামাল (৩২), মো. সুরুজ মিয়া (৩২), জয় চৌধুরী (২৫), মো. বাবু (৩২) ও মো. তানভীর হাসান (২৫)। তাঁদের মধ্যে তানভীর নগরের একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা পাস করেন। বর্তমানে তিনি নগরের একটি কলেজে বিএসসির শিক্ষার্থী।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মো. আলী হোসেন আজ শুক্রবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চক্রের সদস্যরা মুঠোফোন চুরি ও ছিনতাই করেন। পরে এগুলো তানভীরের কাছে নিয়ে যান। তিনি তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে এসব মুঠোফোনের আইএমইআই পরিবর্তন করে ফেলেন। এ কাজে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করেন তানভীর। তিনি চার বছর ধরে আইএমইআই পরিবর্তনের কাজ করে আসছেন। প্রতিটি মুঠোফোনের জন্য নেন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। লোভে পড়ে তিনি এই কাজে জড়িয়ে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন।