জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদেরের ছিনতাই হওয়া মুঠোফোনটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স থেকে মুঠোফোনটি উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে ছিনতাইয়ে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাজধানীর বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ একটি চোর চক্রের এই পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিমানবন্দর থানা–পুলিশ। পুলিশ বলেছে, তিন হাত বদলের পরে জি এম কাদেরের মুঠোফোনটি ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিল চোর চক্রের সদস্যরা।
গত ৩১ আগস্ট রাতে সংসদ ভবন থেকে উত্তরার বাসায় যাচ্ছিলেন জি এম কাদের। রাত ১১টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের সামনে যানজটে আটকা পড়ে তাঁর গাড়ি। এ সময় গাড়ির জানালা খোলা ছিল। মুঠোফোনটি ছিল জি এম কাদেরের হাতে। হঠাৎ এক ব্যক্তি তাঁর মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মুঠোফোন চুরির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন আজিজুল, মো. আজিজ, মো. ইসমাইল, মো. সানাউল্লাহ ও সুবল চন্দ্র ঘোষ।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বি এম ফরমান আলী বলেন, তদন্ত চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দর থানাধীন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে থেকে চোর চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য আজিজুল ও আজিজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা মুঠোফোনটি চুরি করে ১৮ হাজার টাকায় ইসমাইলের কাছে বিক্রি করেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইসমাইল জানান, তিনি মুঠোফোনটি ২০ হাজার টাকায় সানাউল্লাহর কাছে বিক্রি করেছেন। তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স থেকে সানাউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সানাউল্লাহ জানান, মুঠোফোনটি ২২ হাজার টাকায় সুবলের কাছে বিক্রি করেছেন তিনি। এরপর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স থেকে সুবলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় মুঠোফোনটি।