ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাবা-ছেলে হত্যার ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে মো. আরিফ নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়েছে।
১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই মুদি ও চায়ের দোকানদার শরিফুল ও তাঁর ৯ বছরের ছেলে খোকনকে সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে। চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে কেরানীগঞ্জ এলাকায় মালোপাড়া বারিশুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা শরিফুলের ১২ বছর বয়সী আরেক ছেলে শাহজাহানকেও কুপিয়ে জখম করেছিল। এই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির একজন আরিফ। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আজকের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন।
র্যাব বলছে, হত্যার পর এত বছর আরিফ বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় এসে তাঁর নাম ও পরিচয় গোপন করে সরিফুল ইসলাম নামে বসবাস শুরু করেন। এই নামে একটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে প্রথমে ঢেউটিন কারখানায় এবং পরে মুদি ও লন্ড্রি দোকানের ব্যবসা করছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জোড়া খুনের তদন্ত ও বিচারের বিষয়ে র্যাব কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ১৯৯৪ সালের ২৬ আগস্ট বাবা-ছেলে হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০০৪ সালের ১৭ জুলাই আদালত আরিফসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ২০০৮ সালে হাইকোর্ট পুনর্বিচারের জন্য মামলাটি নিম্ন আদালতে পাঠান।
বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আরিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামি শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ওরফে নজু ও মিষ্টার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে আরিফ ও মো. মাসুদ পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত সাজা পরোয়ানা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।