রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে মো. মাহবুব আলম (৩৯) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। আজ বুধবার সকালে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ১৫ দিন আগেও মাহবুবকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল বলে পরিবার দাবি করেছে।
মাহবুব সপরিবার লালবাগের শহীদ নগর ৮ নম্বর গলিতে থাকতেন। তিনি এক মেয়ের বাবা ছিলেন। তাঁর বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলায়।
লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে তিনি জানতে পারেন, জে এন শাহ রোডে একজনের লাশ পড়ে আছে। পরে সেখানে গিয়ে মাহবুব আলমকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তাঁর শরীরে ব্যান্ডেজ প্যাঁচানো ছিল।
পুলিশ কর্মকর্তা সালাম মিয়া বলেন, অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা মাহবুবের ডান হাত, দুই পায়ের গোড়ালি ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর মরদেহটি ফেলে রেখে গেছে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
নিহত মাহবুবের মামা আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে বাসা থেকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ঘুরতে বের হন মাহবুব। আজ ভোর পাঁচটার দিকে খবর আসে যে দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে রেখে গেছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, পুলিশের গাড়িতে করে মাহবুবের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নেওয়া হচ্ছে।
আলাউদ্দিন আরও বলেন, ১৫ দিন আগে লালবাগের সন্ত্রাসীরা মাহবুবকে মারধর ও ছুরিকাঘাতে আহত করেছিল। তখন তিনি শ্যামলীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। এর আগে যারা তাঁকে মেরেছিল, তারাই তাঁকে হত্যা করতে পারে বলে তিনি সন্দেহ করছেন। তবে তাদের তিনি চেনেন না।