রাজধানীর শুক্রাবাদে এক পারলার কর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার গ্রেপ্তার ওই দুজন হলেন মো. রিয়াদ (২৪), ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম (২৩)। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার দুজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এ ঘটনায় আরও এক তরুণ ও এক তরুণী জড়িত। ওই দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর গ্রেপ্তার তরুণেরা ধর্ষণের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বলেছেন, ধর্ষণের পর ওই নারীকে তাঁরা মারধরও করেছেন।
গত মঙ্গলবার বাসায় রূপচর্চা সেবা নেওয়ার কথা বলে সাভার থেকে ওই নারী পারলার কর্মীকে শুক্রাবাদের বাসায় ডাকা হয়। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী সাভারে থাকেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক তরুণী তাঁকে ফোন করে কাজ করাবেন বলে ধানমন্ডি ২৮ নম্বরে আসতে বলেন। সে অনুযায়ী পারলার কর্মী ধানমন্ডি ২৮ নম্বরে যান। সেখান থেকে ওই তরুণী পারলার কর্মীকে শুক্রাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালের পাশের গলির একটি বাড়ির দোতলার বাসায় নিয়ে যান। এরপর সেখানে রিয়াদ, ইয়াছিনসহ তিনজন ওই পারলার কর্মীকে ধর্ষণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা এইচ এম আজিমুল হক বলেন, পারলার কর্মীকে ধর্ষণের পর তিন ধর্ষক তাঁকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় তুলে দেন। এ সময় তাঁরা ওই নারীর মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। যে বাসায় ধর্ষণ করা হয়েছে, সেটি রিয়াদের। ঘটনার সময় তাঁর মা-বাবা বাইরে ছিলেন। পারলার কর্মীকে যে তরুণী ফোনে ডেকেছিলেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। ভুক্তভোগী নারী পুলিশকে বলেছেন, ধর্ষকেরা আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে তাঁকে ধর্ষণ করেন।
এদিকে ধর্ষণের শিকার নারী পারলার কর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন। ওসিসির সমন্বয়ক বিলকিস বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, পারলার কর্মী নারী এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।