চট্টগ্রাম নগরে সড়কের পাশে পড়ে থাকা লাগেজের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া হাত-পায়ের টুকরাগুলো মো. হাসান (৬২) নামের এক ব্যক্তির। উদ্ধার হওয়া আঙুলের ছাপ নিয়ে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বলছে, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে স্ত্রী ও ছেলে মিলে তাঁকে খুন করার পর কেটে টুকরা টুকরা করেন। পরে টুকরাগুলো লাগেজ ও বস্তায় ভরে ফেলে দেন।
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীর বরইতলি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন হাসান।
এ দিকে আজ শনিবার সকালে নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোড এলাকায় একটি বস্তা থেকে হাসানের শরীরের বাকি অংশও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনার পর পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে। হাত-পায়ের আটটি টুকরার মধ্যে হাতের আঙুলও আছে। আঙুলের ছাপ নিয়ে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়। জানা যায়, এগুলো বাঁশখালীর বরইতলি এলাকার বাসিন্দা হাসানের। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে স্ত্রী ছেনোয়ারা ও ছেলে মোস্তাফিজুরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।নাইমা সুলতানা, পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার
গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরের পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় খালের কাছ থেকে একটি লাগেজ উদ্ধার করে পুলিশ। এর ভেতর মানুষের হাত ও পায়ের আটটি টুকরা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে। হাত-পায়ের আটটি টুকরার মধ্যে হাতের আঙুলও আছে। আঙুলের ছাপ নিয়ে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়। জানা যায়, এগুলো বাঁশখালীর বরইতলি এলাকার বাসিন্দা হাসানের। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর স্ত্রী ছেনোয়ারা ও ছেলে মোস্তাফিজুরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
নাইমা সুলতানা আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছেনোয়ারা ও মোস্তাফিজুর জানান, হাসান দীর্ঘদিন পরিবারের সঙ্গে ছিলেন না। কিছুদিন আগে তিনি পরিবারের কাছে ফিরে আসেন। হাসানকে মৃত দেখিয়ে মোস্তাফিজুর জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছিলেন। হাসান ফিরে আসার পর সম্পত্তি নিয়ে ছেনোয়ারা ও মোস্তাফিজুরের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছেনোয়ারা ও মোস্তাফিজুর স্বীকার করেন, হাসানকে মৃত দেখিয়ে তাঁর ছেলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছিলেন। হাসান ফিরে আসার পর সম্পত্তি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়।
ছেনোয়ারা ও মোস্তাফিজুর স্বীকার করেছেন, এ বিরোধের জেরে ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের ভাড়া বাসায় হাসানের লাশ টুকরা টুকরা করা হয়। পরে খণ্ডিত অংশগুলো পতেঙ্গা ও আকমল আলী রোডের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।
হাসানের স্ত্রী-সন্তান ছাড়াও আরও কয়েকজন জড়িত উল্লেখ করে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।