সপ্তাহখানেক আগের ঘটনা। মুঠোফোনে এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মাহমুদুল হাসানের। দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। এরপর এই তরুণী দুর্ঘটনায় আহত বাবাকে হাসপাতালে ভর্তিসহ নানা কথা বলে তাঁর কাছ থেকে পৌনে তিন লাখ টাকা নেন। কিন্তু টাকা ফেরত না দেওয়ায়, এমনকি যোগাযোগের সব মুঠোফোন নম্বর বন্ধ থাকায় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মাহমুদুল।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা মামলায় আসামি তরুণীর নাম বলা হয় জান্নাতুল ফেরদৌস।
বাদীর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, আদালত বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২ জুলাই বাদীর মুঠোফোনে এক তরুণী কল করেন। তরুণী নিজেকে চকরিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের মেয়ে বলে পরিচয় দেন। এরপর দুজনের মধ্যে আলাপ জমে এবং বন্ধুত্ব হয়। এরপর বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আসামি বাদীর কাছ থেকে টাকা নেন।
অভিযোগকারীর দাবি, বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, এ কথা বলে সর্বশেষ ৮ জুলাই আরও এক লাখ টাকা নেন। এভাবে ওই তরুণী তাঁর কাছ থেকে মোট ২ লাখ ৭৫ হাজার নিয়েছেন। ব্যাংক হিসাবে টাকা পরিশোধের কথা থাকলে অভিযুক্ত তরুণী ব্যাংকে টাকা জমা দেননি। এরপরে অভিযুক্তের সব কটি মুঠোফোন নম্বরে কল করেন বাদী। কিন্তু সব নম্বর বন্ধ পান।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা মাহমুদুল হাসানের দাবি, পরিচয় থাকায় সরল বিশ্বাসে তিনি ওই তরুণীকে সাহায্য করেন। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়েছেন।