গুলিস্তানে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে

সংঘর্ষ
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজারের কাছে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত যুবকের পরিচয় জানা গেছে। তাঁর নাম রেজাউল করিম। বাড়ি শেরপুরের নকলা থানার পশ্চিম নারায়ণ খোলা গ্রামে।

পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু মিয়া ওই যুবকের পরিচয় শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওই যুবকের পকেটে একটি মুঠোফোন পাওয়া গেছে। মুঠোফোনের সিমের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রেজাউল করিমের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তবে এখনো তাঁর কোনো আত্মীয়স্বজনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি রাজনৈতিক কর্মী কি না, তা জানা যায়নি।

সেন্টু মিয়া বলেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট ওই যুবকের আঙুলের ছাপ নিয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশের শেষ দিকে গোলাপশাহ মাজারের কাছে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ এবং সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে রেজাউল নিহত হন। এ সময় চারজন আহত হন। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, এ সময় আহত তিনজন পথচারী। তাঁরা হলেন আরিফুল ইসলাম (১৮), মো. জোবায়ের হোসেন (১৬) ও মোবাশ্বের (২৫)। আরেকজন যুবলীগ কর্মী। তাঁর নাম নোমান হোসেন ওরফে রনি (৩২)।

এদিকে সংঘর্ষের পর কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের সমর্থকেরা দাবি করেন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলামের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে। তবে কামরুল ইসলামের সমর্থকেরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।