জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি মামুনুর রশীদ ওরফে মামুনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পূর্বপরিচিত এই মামুনের কথাতেই ওই রাতে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর স্বামী। তখন ওই নারীকে যে দুজন ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ, তাঁদের একজন এই মামুন।
গতকাল বুধবার রাতে ঢাকার ফার্মগেট ও নওগাঁয় অভিযান চালিয়ে মামুন এবং গৃহবধূকে ধর্ষণে সহায়তাকারী মুরাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে। এর আগে ঘটনার রাতেই ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান এবং তাঁর তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
মামুন ও মুরাদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পুলিশ সুপার আল আমিন। তিনি গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী নারী পরিবার নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস–সংলগ্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওই বাসায় থাকতেন মামুন। গত শনিবার রাতে কৌশলে তিনি প্রথমে ওই নারীর স্বামীকে এবং পরে ভুক্তভোগী নারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে ডেকে নেন। এরপর স্বামীকে বেঁধে নির্যাতন এবং গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে মো. মুরাদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই গৃবধূর স্বামীকে আটকে রাখায় সহায়তা এবং মারধর করেছিলেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে চারজনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা।