প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পাবনার যুব মহিলা লীগ নেত্রীকে টাকা দিয়ে ফেঁসেছেন ঢাকার ব্যবসায়ী

ফেসবুকে পরিচয়। সেখান থেকেই আফসানা মিমি ওরফে মীম খাতুনের (২৬) সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ঢাকার ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামানের। একপর্যায়ে ব্যবসা করতে মিমিকে ১৩ লাখের বেশি টাকা দেন তিনি। তবে সেই টাকা আর ফেরত পাননি।

এসব অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেন ঠিকাদার মনিরুজ্জামান। সেই মামলায় আজ বুধবার সকালে আফসানা মিমি ও তাঁর স্বামী মো. ওবাইদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে গুলশান থানার পুলিশ। মিমি পাবনা সদর পৌর যুব মহিলা লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজ সন্ধ্যায় গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) শাহানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে আজ সকালে পাবনা থেকে গ্রেপ্তার করে সন্ধ্যায় গুলশান থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।

মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের অক্টোবরে ফেসবুকে পাবনার মেয়ে আফসানা মিমির সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয় হয়। এরপর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। গত বছরের ২২ নভেম্বর মিমি রাজধানীর গুলশানে তাঁর (মনিরুজ্জামান) ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এসে দেখা করেন। তিনি পাবনার রবিউল মার্কেটে থ্রি-পিসের শোরুম দিয়ে তাতে মনিরুজ্জামানকে অংশীদার করতে চান।

মনিরুজ্জামান বলেন, প্রস্তাবে রাজি হয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ হিসেবে ২২ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আফসানা মিমিকে ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৯০ টাকা দেন তিনি। কিন্তু মিমি রবিউল মার্কেটে দুটি দোকান ভাড়া নিলেও ব্যবসায় তাঁকে অংশীদার করেননি। টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে টাকা দেবেন না বলে জানিয়ে দেন মিমি।

আফসানা মিমির রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আরিফা খাতুন। তিনি আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, মিমিকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।